ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান করবেন। এ উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।
একুশে পদক প্রদান উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি বলেন, একুশের শহিদরা যেমন জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান, তেমনি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সব গুণীজন জাতির গর্ব ও অহংকার। যদিও প্রকৃত গুণীজন পুরস্কার বা সম্মাননার আশায় কাজ করেন না, তবু পুরস্কার-সম্মাননা জীবনের পথ চলায় নিরন্তর প্রেরণা জোগায়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, একুশের চেতনাকে ধারণ করে দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা প্রভূত অবদান রাখছেন, তাদের সবার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা গৌরবময় একুশে পদক প্রদান করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যেসব বীর শহিদ আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, আজ আমি তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। প্রতিবছর মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মরণে একুশে পদক প্রদান আমাদের সবাইকে জাতীয়তাবোধের চেতনায় ভীষণভাবে উজ্জীবিত করে। শেখ হাসিনা বলেন, ইতঃপূর্বে প্রতিবছর বাংলাদেশের অল্প সংখ্যক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জাতীয় পর্যায়ে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ একুশে পদকে ভূষিত করা হতো। পদকপ্রাপ্তদের সম্মানী অর্থের পরিমাণও ছিল যৎসামান্য। আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য ব্যক্তিদের পুরস্কার হিসাবে প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ কয়েক দফা বৃদ্ধি করে ২০২০ সালে ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। অনুরূপভাবে ২০১৮ সাল থেকে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১-এ উন্নীত হয়েছে। জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৫২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ৩টি স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। ২০২২ সালে (এ বছর) মোট ২৪ জনকে এ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মরণোত্তর পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি প্রার্থনা করছি। আর যারা আজ পুরস্কার গ্রহণ করছেন, তাদেরকে আমরা আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এবার পদক পাচ্ছেন যারা : ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেয়া হচ্ছে। এবার যারা পাচ্ছেন-ভাষা আন্দোলনে মোস্তফা এমএ মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর)। মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউএবিএম রহমান ও আমজাদ আলী খন্দকার। নাচের জন্য জিনাত বরকতুল্লাহ, সঙ্গীতে নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান বেনু, অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ। সাংবাদিকতায় এমএ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন ও শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. গৌতম বুদ্ধ দাস। সমাজসেবায় এসএম আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ ডা. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো। ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাস পুরকায়স্থ। গবেষণায় ডা. মো. আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, ডা. মো. এনামুল হক (টিম লিডার), ডা. শাহানাজ সুলতানা (টিম) ও ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস (টিম)।