রাতের আঁধারে আয়োজন করা হয়েছিলো বাল্য বিয়ে। খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন। এ সময় ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়ে বাসর ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় নবদম্পতি ও বিয়ে বাড়ির লোকজন। আর এই ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মামুতপুর গ্রামে। আজ শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে বাল্য বিয়ে বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তমাল হোসেন জানান, মামুতপুর গ্রামের তছের উদ্দিন সরকারের বাড়িতে তার ছেলে ইনামুল সরকার (২৫) এর সাথে পাশ্ববর্তী এলাকা দুধগাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে নুপুর খাতুনের বাল্য বিয়ের সংবাদ পান তিনি। প্রথমে খবর নিয়ে তিনি ঘটনার সত্যতা পান। পরে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তার উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ির লোকজন বর-কনেসহ সকলেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তিনি ঐ বাড়ীতে বাসর ঘর সাজানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি বাড়ীর আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে বিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেওয়ার আদেশ দেন। সেই সাথে বিয়ে পরবর্তীতে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাল্য বিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় মেম্বার হিটলার হোসেন জানান, বর কনেসহ তাদের অভিভাবককে রবিবার দুপুরে উপস্থিত করার জন্য ইউএনও মহোদয় নির্দেশ দিয়েছেন। এখনো বর কনেসহ তাদের অভিভাবকরা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের খোঁজ করা হচ্ছে। খোঁজ পেলে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে ইউএনও অফিসে।