নাটোরের গুরুদাসপুরে এক দিনে তিন বাল্য বিবাহ বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে বাল্য বিবাহ রোধে সচেনতামূলক সভা করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনটি বাল্য বিবাহ বন্ধের পর বিকেলে গুরুদাসপুরের মধ্যমপাড়ার শাহিদা কাশেম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও ছাত্রীদের নিয়ে বাল্য বিবাহ রোধে সচেনতামূলক সভাটি করেন তিনি। গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন গুরুদাসপুর মধ্যমপাড়া শাহিদা কাশেম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শাহানুর খাতুন, ৭ম শ্রেণীর রহিমা খাতুন ও একই শ্রেণীর কামরুন নাহারের বিবাহ দেওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের পারিবার। খবর পেয়ে তিনি ওই তিন ছাত্রীর বাসায় গিয়ে উপস্থিত হন। এসময় তিন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে এনে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে নয় এই মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গুরুদাসপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। পরে মধ্যমপাড়া শাহিদা কাশেম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও ছাত্রীদের নিয়ে বাল্য বিবাহ রোধে সচেনতামূলক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিগার সুলতানা।