নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রেমের সম্পর্ক ধরে রাতের অন্ধকারে বিয়ের প্রলোভনে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কলেজ ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের স্বজনদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এদিকে ঘটনার পর থেকে প্রেমিক তারেক হাসান পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রেমিকা আহমেদপুর অনার্স কলেজের এইচ এসসি দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
ভুক্তোভোগীর পরিবার জানান, উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর মুক্তা বাজারের আবুল কাছুর ছেলে তারেক হাসানের সাথে একই ইউনিয়নের শাহী বাজারের জালাল হোসেনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক বছরের প্রেমের সুত্র ধরে গত রাত তিনটার দিকে মেয়েটিকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যায় প্রেমিক তারেক হাসান। এরপর সকালে মেয়েকে বাড়ীতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। এদিকে মেয়েকে ছেলের পরিবারের সদস্যরা মেনে না নিয়ে তারেকের মা ,বাবা ও চাচী মিলে শারিরিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। পরে সে তারেকের পাশের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে মেয়েটির বাবা বলেন তিনি এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তিনি ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।