সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে নাটোরের গুরুদাসপুরের আত্রাই নদীতে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক স্রোতের গতিপ্রবাহ বৃদ্ধি করে চারটি অবৈধ সোঁতি জাল পেঁতে অবাধে চলছে মাছ শিকারের মহোৎসব। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাক্তি দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে ওই মাছ শিকার করছেন বলে জানান এলাকাবাসী। আর এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা আত্রাই নদীতে বিয়াঘাট ইউনিয়নের সাবগাড়ী বাজার পয়েন্টে,খুবজীপুর ইউনিয়নের কালাকান্দর এলাকার পয়েন্টে এর সত্যতা মেলে। দেখে গেছে, প্রবাহিত আত্রাই নদীর উভয় তীরে বাঁশ,চাটাই ও নেট জালের সাহায্যে বাধ দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহিত গতিকে বহুগুন বাড়িয়ে কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে উভয় পাশে শক্ত খুটির সাথে জাল পেতে মাছ শিকার করা হচ্ছে। আত্রাই নদীতে এভাবেই চলছে অবৈধ সোঁতি জাল পেঁতে মাছ শিকারের মহোৎসব। প্রতিবছর আত্রাই নদীতে এভাবে সোঁতি জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় বর্ষা মৌসুমে আসা অনেক প্রজাতির মাছের প্রজনন কমে যাওয়ার পাশাপাশি নানা প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব আজ বিলীন হওয়ার পথে। এছাড়াও নদীর স্রোতের কারনে প্রায়ই ঘটছে নৌকা ডুবির মত ঘটনা। স্রোতের কারনে প্রতিবছর নদীর উভয় পাড় ভাঙ্গন দেখা দিলেও সোঁতি জালের মালিকরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ দুই পাড়ের বসবাসকারী কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননা। এলাকাবাসীর কাছে বক্তব্য জানতে চাইলেও ভয়ে কেউ বক্তব্য দিতে সাহস পান না।
এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান,সাবগাড়ি বাজার এলাকায় আব্দুল মান্নান ও তার সহযোগী,শাখা নদীতে (ক্যানেলে) রবি তার সহযোগী,দুলাল ও তার সহযোগী এবং কালাকান্দর পয়েন্টে রবিউল করিম ও তার সহযোগীরা ওই সোঁতিজালের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করছেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে সোতির মালিকগনের পক্ষে রবিউল করিম বিষয়টি অবৈধ শিকার করে জানান,এলাকার প্রান্তিক জেলেদের সাথে নিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। তবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে মাছ শিকার করার কথা এড়িয়ে যান।
উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিস সুত্রে জানা গেছে তারা বিষয়টি অবগত আছেন। অফিসে লোকবলের অভাবে সময়মত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়না। তবে তারা অচিরেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে সোঁতি জাল উচ্ছেদ করবেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান,অবিলম্বে আত্রাই নদীতে অবৈধ সোঁতি জাল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।