নিউজ ডেস্ক:
বসবাসের জন্য যাদের মাথার ওপর কোনো ছাদ নেই একমাত্র তারাই উপলদ্ধি করতে পারে জীবন সংগ্রামের মানে কি, খোলা আকাশের নীচে জীবনধারণের কি অবর্ণনীয় কষ্ট। সেই সব দুঃখী ও নিরীহ মানুষদের কষ্টের কথা ভেবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গৃহহীনদের মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য চালু করেন আশ্রয়ণ প্রকল্প। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মূল প্রতিপাদ্য ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’। শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ১৯৯৭ সাল থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে মোট ২,৬৪,৪৪২ টি পরিবারকে সরকারি অর্থায়নে ঘর নির্মাণ করে দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজার জেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হওয়ায় বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐ এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন এবং সকল গৃহহীন পরিবারসমূহকে পুনর্বাসনের তাৎক্ষনিক নির্দেশ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১৯৯৭ সালে “আশ্রয়ণ” নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিন (০৩) টি ফেইজে আশ্রয়ণ প্রকল্প (১৯৯৭ – ২০০২), আশ্রয়ণ প্রকল্প (ফেইজ – ২) (২০০২ – ২০১০), আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্প (২০১০ – ২০১৯) মোট ২,৮৪,৯৭৮টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়, তন্মধ্যে আশ্রয়ণ – ২ প্রকল্পের মাধ্যমে ১,৭৯,০৬৫টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে। বর্ণিত প্রকল্পের সাফল্য ও ধারাবাহিকতায় ২০১০-২০১৯ (সংশোধিত) মেয়াদে ২.৫০ লক্ষ ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
সবশেষ নান্দাইল উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে একটি সেমি পাকা টিন শেড ঘর ও একটি ল্যাট্রিন পেয়ে আনন্দিত নান্দাইলের ৪৪১ পরিবার। সেমিপাকা টিন শেড ঘরে শোবার বাস্তবতা যেন তাদের কাছে আলাদিনের প্রদীপ পাওয়ার মতো লাগছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে সুবিধাভোগী রাশিদা খাতুন বলেন, ‘আল্লায় শেখ হাসিনারে বাচাঁইয়া রাখুন, উনার কারণেই ঘর পেয়েছি, আর নিরাপদে আছি।’ শুধু নান্দাইলের রাশিদা খাতুনই নয় সারাদেশে এরকম লাখো রাশিদা খাতুন শেখ হাসিনার মমতায় জড়ানো উপহার হিসেবে বসবাসের জন্য ঘর প্রাণ ভরে দোয়া করছে। এসব সহজ সরল নিরীহ মানুষের দোয়া নিয়েই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথে দীপ্ত শপথে এগিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।