ডেস্ক নিউজ
আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে বিতর্কিত করতে দলে যোগ দিয়ে দলীয় ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নিজস্ব ফায়দা লুটতে তৎপর বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। এ পরিকল্পনা পুরনো হলেও বর্তমান সরকারের কড়া নজরদারিতে তা প্রকাশ্যে আসছে। এমন পরিকল্পনায় আছে জামায়াতে ইসলামীও।
সূত্র বলছে, পাবনায় প্রকাশ্যে ওলামা লীগ করলেও গোপনে জামায়াত ও জঙ্গি কার্যক্রমকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ ১৪ নারী জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে, ১৩ অক্টোবর রাতে শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকায় বিপুল পরিমাণ জঙ্গিবাদ-সংক্রান্ত বইপত্র ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ জানান, শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫নং সড়কের ১১৯ নম্বর বাড়ির মালিক সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন। দোতলা বাড়ির নিচতলায় জামায়াতের নারী সংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংগঠনের সদস্যদের আস্তানা ছিলো। এখান থেকে নারী সদস্যরা মেয়েদের সংগঠিত এবং নাশকতার ছক পরিচালনা করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওইদিন রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে বৈঠক করা অবস্থায় জামায়াতের ১৩ নারী সদস্য এবং বাড়ির মালিক কথিত ওলামা লীগ নেতা অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসাইনকে আটক করে।
ধুলাউড়ি কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, অধ্যক্ষ যদি জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিচার দাবি করি। তবে তিনি তার জামায়াত-সংশ্লিষ্টতা গোপন করে সবার কাছে নিজেকে ওলামা লীগ নেতা দাবি করতেন। পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জরিফ উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে মাওলানা আনোয়ার মাদ্রাসারহাট নিজেদের কবজায় রেখে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করতেন। পাঁচ বছর ধরে অন্য কাউকে এর সিডিউল ক্রয় করতে দেননি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষের বন্ধু আব্দুল হক জানান, শিবপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় পড়ার সময় আনোয়ার হোসাইন ইসলামী ছাত্রশিবিরের পর্যায়ক্রমে সভাপতি ও সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেছেন। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান জানান, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অনেক চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছেন। আরও তদন্ত চলছে।