ডেস্ক নিউজ
বিশ্বব্যাপী জ্বালানির বাজারে সাম্প্রতিক অস্থিরতার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে দেশে। এরই মধ্যে বেড়েছে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য। মোট চাহিদার তুলনায় ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসেরও সঙ্কট রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই চাহিদা মেটাতে উচ্চ মূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে এলএনজি। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও অবহেলিত অবস্থায়ই ছিল দেশীয় কূপগুলো। কিন্তু সাম্প্রতিক সঙ্কটে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ও পেট্রোবাংলা। দেশীয় কূপগুলোতে গ্যাস অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভারে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। পেট্রোবাংলা বলছে, চলতি বছরের শেষ ৪ মাসসহ আগামী ৩ বছরে দেশজুড়ে অন্তত ৪৬টি কূপে অনুসন্ধান, উন্নয়ন এবং ওয়ার্কওভারের কাজ পরিচালনা করা হবে। এতে দেশে গ্যাসের মজুদ এবং সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু খনন, ওয়ার্কওভার বা উন্নয়ন কাজই নয় বরং প্রাপ্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে যথাসময়ে সঞ্চালন লাইন তৈরিরও তাগিদ দিয়েছেন তারা।
জানা যায়, এখন দেশে মোট গ্যাসের চাহিদা গড়ে দৈনিক প্রায় ৩৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে দেশীয়ভাবে উৎপাদন সাড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট হলেও সরবরাহ হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। আর এলএনজি আমদানি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা থাকলেও বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সঙ্কট থেকেই যাচ্ছে। এই চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা হচ্ছে এলপিজি। আবার অনেক জায়গায় গ্যাসের চাপ কম থাকছে প্রায় সময়ই। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
তবে সম্প্রতি ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের টবগী-১ কূপের খননকাজ শুরুর মাধ্যমে নতুন উদ্যমে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাপেক্স এবং পেট্রোবাংলা। বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে বাপেক্স দৈনিক ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছে। এছাড়া বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) উৎপাদন করছে ৬১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। আর সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড উৎপাদন করছে ১০৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সব মিলিয়ে এই তিন কোম্পানি দৈনিক মোট ৮৬৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছে। আর বাকিটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান শেভরন আর আমদানি করা এলএনজি। কিন্তু এই উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে আগামী তিন বছর দেশজুড়ে অন্তত ৪৬টি কূপ খনন করে আরও ৬১৮ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন করার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জনকণ্ঠকে বলেন, দেশীয় কূপ খননে বাপেক্স সব সময়ই আন্তরিক। আমরা চলতি বছরের শেষ চার মাসসহ ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে ১৭টি কূপে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করব।
তাছাড়া উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করা হবে ১২টি ক্ষেত্রের। আর ওয়ার্কওভার করা হবে ১৭টির। বাপেক্সের পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ করবে এসজিএফএল এবং বিজিএফসিএল। এতে দেশীয় গ্যাসে একটা বিরাট পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে আমি মনে করি।
জানা যায়, বাপেক্সের অধীনে ২০২২ সালে ওয়ার্কওভারের কাজ চলবে সেমুতাং-৫ কূপে, ড্রিলিং করা হবে শ্রীকাইল নর্থ-১এ (ড্রিলিং), সেমুতাং-৬, শরীয়তপুর-১ (ড্রিলিং), টবগী (ড্রিলিং)। ২০২৩ সালে সুন্দলপুর-৩ (ড্রিলিং), মুলাদি/হিজলা-৩ (ড্রিলিং), বেগমগঞ্জ-৪ ওয়েস্ট (ড্রিলিং), ইলিশা-১ (ড্রিলিং), ভোলা নর্থ-২ (ড্রিলিং)-এর কাজ করা হবে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে সেমুতাং-৭ (ড্রিলিং), দোয়ারাবাজার ইস্ট-১ (ড্রিলিং), জকিগঞ্জ-২ (ড্রিলিং), ফেঞ্চুগঞ্জ সাউথ-১ (ড্রিলিং), শাহবাজপুর-৬ (ড্রিলিং), শ্রীকাইল ডীপ-১-এর কাজ চলবে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রীকাইল-৫ (ড্রিলিং), শাহবাজপুর-৭ (ড্রিলিং), ভোলা নর্থ-৩ (ড্রিলিং), মোবারকপুর ডীপ-১-এর কাজ করবে বাপেক্স। এসব কেন্দ্র থেকে অন্তত দৈনিক ২৮১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হবে।
একইভাবে এসজিএফএল ২০২২ সালে বিয়ানীবাজার-১ (ওয়ার্কওভার) করার পাশাপাশি ২০২৩ সালে কৈলাশটিলা-২ (ওয়ার্কওভার), কৈলাশটিকাল-৮ (ড্রিলিং), রশিদপুর-২ (ওয়ার্কওভার), রশিদপুর-৫ (ওয়ার্কওভার), সিলেট-৭ (ওয়ার্কওভার), রশিদপুর-৯ গ্যাস গ্যাদারিং স্থাপন, সিলেট-১০-এর ড্রিলিং কাজ করা হবে। শুধু তাই নয় এসজিএফএল ২০২৪ সালে রশিদপুর-১১ (ড্রিলিং), রশিদপুর-৩ (ওয়ার্কওভার), রশিদপুর-১৩ (ডীপ-১)-এর কাজ করবে। আর ২০২৫ সালে কোম্পানিটি সিলেট-১১ (ড্রিলিং), বিয়ানীবাজার-২ (ওয়ার্কওভার), ডুপিটিলা-১ (ড্রিলিং)-এর কাজ করবে। এসব কেন্দ্র থেকে ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আর বিজিএফসিএল ২০২৩ সালে শুরু করবে তিতাস-২৪-এর ওয়ার্কওভারের কাজ। একইভাবে তিতাস-৮, তিতাস-১৬ এবং তিতাস-১৪-এর ওয়ার্কওভারেরও কাজ চলবে একই বছর। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে হবিগঞ্জ-৬, বাখরাবাদ-৭ এবং মেঘনা-১-এর ওয়ার্কওভারের কাজ হবে। আর ড্রিলিং হবে তিতাস-(ডীপ-১) এর। একইভাবে ২০২৫ সালে কামতা-২, তিতাস-২৮, তিতাস-২৯, বাখরাবাদ (ডীপ-১)-এর কাজ করা হবে।
এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জনকণ্ঠকে বলেন, দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে পেট্রোবাংলা। এ লক্ষ্যে ২০২২-২৫ সময়কালের মধ্যে সংস্থাটি মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভারের কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্স কর্তৃক রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে ভোলায় টবগী-১ নামক অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় পর্যায়ক্রমে আরও দুইটি অনুসন্ধান কূপ ইলিশা-১ ও ভোলা নর্থ-২ খনন করা হবে। তিনি জানান, টবগী-১ কূপটি প্রায় ৩৫০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খনন করা হবে। এ কূপ থেকে ২০/২৫ এমএমসিএফডি হারে গ্যাস পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা যায়।
কিন্তু ভোলা থেকে উৎপাদিত এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। জানা গেছে, এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা সরকারের কাছে নেই। নদীর তলদেশ দিয়ে রিভার ক্রসিং করে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হলে তেমন কোন লাভও হবে না জানিয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কূপ থেকে যে গ্যাস উৎপাদন হবে তা দিয়ে ভোলার গ্যাসের চাহিদা মিটিয়ে এখানে শিল্প কারখানার বিদ্যুত বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। এতে শিল্প-কারখানাগুলোতে উৎপাদন বাড়বে। যা দেশীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য মকবুল ই ইলাহী বলেন, আমরা বরাবরই বলে আসছি পেট্রোবাংলা এবং দেশীয় কোম্পানিগুলো উদ্যোগ নিলেই ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু এই উদ্যোগ বারবার নিতে বলা হলেও নেয়া হচ্ছিল না। শুধু রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ থেকেই ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব। এর জন্য সেখানে একটি আড়াই কিলোমিটার ও আরেকটি তিন কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এই হুক-আপ লাইন করা যায়নি গত চার বছরেও। এমন আরও অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে কাজের সুযোগ আছে। যারা দায়িত্বে আছেন, তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এটাই মূল সমস্যা। এখন যেহেতু সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগ নিচ্ছে তাহলে নিশ্চয়ই ভালো কিছু হবে।
সাম্প্রতিক এ সংস্কারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মর্তুজা আহমেদ ফারুক চিশতী সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কারের মাধ্যমে উৎপাদন কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু তা দিয়ে পুরো সঙ্কট মোকাবেলা সম্ভব নয়। সংস্কার করাটা বাপেক্সের নিয়মিত কাজের মতো। তারা সব সময়ই করছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে নতুন কোন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হয়নি। অফশোরে কোন কাজ হচ্ছে না। অনেক এলাকায় এখনও আমরা যাইনি। সেখানে যেতে যে প্রযুক্তি ও জনবল প্রয়োজন তা নেই। বাপেক্সের একার পক্ষেও এসব করা সম্ভব নয়। সমন্বিত এ্যাকশন প্ল্যান করেই সঙ্কট মোকাবেলা করতে হবে।
উৎপাদিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) এমন দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুখসানা নাজমা ইছহাক জনকণ্ঠকে বলেন, জিটিসিএল পাইপলাইনের মাধ্যমে তিতাস, কর্ণফুলী, জালালাবাদ ইত্যাদি গ্যাস কোম্পানিগুলোর অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্ব পালন করছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরেই এই কোম্পানি ১,৫৬০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রায় ২১,৮৩১ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করে, যা পূর্বের বছরের তুলনায় প্রায় ০.৪৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া উল্লেখিত সময়ে উত্তর-দক্ষিণ কনডেনসেট পাইপলাইনের মাধ্যমে জালালাবাদ ও বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রায় ৩২৭ মিলিয়ন লিটার কনডেনসেট পরিবহন করে যা পূর্বের বছরের তুলনায় প্রায় ৫৪.১২ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ ছাড়াও গ্যাসলাইন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নতিকল্পেও কাজ করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে আশুগঞ্জ ও এলেঙ্গাতে স্থাপন করা হয়েছে দুটি কম্প্রেসার, এগুলোর ক্ষমতা প্রায় ১৫০০ এমএমএসসিএফডি এবং ৫০০ এমএমএসসিএফডি। কম্প্রেসরগুলো ট্রান্সমিশন পাইপলাইনের লাইন প্যাক পরিচালনা এবং জাতীয় গ্যাস গ্রিডের কম গ্যাস চাপ দূর করার জন্য কাজ করছে। আশুগঞ্জ ও এলেঙ্গা ট্রান্সমিশন স্টেশনের ৩টি ইউনিটের মধ্যে ২টি ইউনিট চলমান আছে। আশুগঞ্জ কম্প্রেসার স্টেশন চালু করার ফলে, গ্রিডে অতিরিক্ত ১৫০-২০০ এমএমএসসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। সাম্প্রতিককালে কোম্পানি এলএনজি সরবরাহের জন্য মহেশখালী-আনোয়ারা প্রজেক্টে মেন পাইপলাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ সকল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নতুন নতুন স্ট্র্যাটেজি তৈরি, ডিজিটালাইজেশনের জন্যও কাজ করছে এ কোম্পানি, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ॥ নতুন উদ্যোগে গ্যাসকূপ খননের বিষয়ে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জনকণ্ঠকে বলেন, দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০২২-২৫ সালের মধ্যে আমরা ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে জ্বালানি বিভাগ এ পর্যন্ত ২১টি অনুসন্ধান, ৫০টি উন্নয়ন ও ৫৬টি ওয়ার্কওভার কূপ খনন করেছে। যার হাত ধরে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র।
দেশীয় খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে জোর দেয়ার কারণেই ২০১৮ সালে আমাদের গ্যাস উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় দৈনিক ২৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ), যা ২০০৯ সালে ছিল দৈনিক ১,৭৪৪ এমএমসিএফ। কূপগুলোর রিজার্ভ কমতে থাকায় উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেলেও এলএনজিসহ বর্তমানে বাংলাদেশের দৈনিক প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ প্রায় সাড়ে ৩৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।