নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য যাত্রাপালা হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০বছর পূর্তি উপলক্ষে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বকুল স্মৃতি থিয়েটারের আয়োজনে মঞ্চস্থ হয়েছে সামাজিক যাত্রাপালা শশী বাবুর সংসার। দুই দিন ব্যাপী যাত্রাপালায় শুক্রবার রাতে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে জমিদার বাড়ি গিরিশ ধাম সংলগ্ন মঞ্চস্থ হয় এই যাত্রাপালা। যাত্রাপালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নাটোর-১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল।
যাত্রাপালায় দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। যাত্রাপালার গল্পে নি¤œ মধ্যবিত্ত পরিবারে করুণ কাহিনী ফুটে উঠে, শশী বাবু একজন আদর্শবান সৎ কর্মচারী। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা শশী বাবুর ছোট ভাইকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ধার দেনা করে সংসার চালাতে নিঃস্ব হতে হয় তাকে। সেই ছোট ভাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে তার স্ত্রী ও সমাজের কুচক্রি মহলের চক্রান্তে বাড়ি থেকে বিতাড়িত হন। গৃহ হারা শশী বাবু পতে পথে ভিক্ষা করে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেন। অবশেষে শশী বাবুর সন্তান ঝন্টু মারা যায়।
রঞ্জন দেবনাথের রচনায় ও দেবাশীষ কুন্ডুর পরিচালনায় সামাজিক যাত্রাপালায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন দীপক কুমার কুন্ডু, উত্তম রায়, দেবাশীষ কুন্ডু, মজিবুল হক, মজিবর রহমান, ফারুক, রয়েজ, আমিরুল। এছাড়াও নারী চরিত্রে অভিনয় করেন রত্ননা, শেফালী, মিনতি রায় সহ অনেকে।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মসগুল হোসেন ইতি বলেন, সামাজিক যাত্রাপালা শশী বাবুর সংসার এর কাহিনী দর্শকদের মন জয় করেছে। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু’দিন ব্যাপি যাত্রাপালায় বাঙ্গালির হাজার বছরের সংস্কৃতি অন্যতম অনুসঙ্গ এই যাত্রপালা আশ্লীলতার আবহে হারিয়ে যাওয়া যাত্রাপালাকে তার নিজের শিল্পগুন ধরে রাখতে বকুল স্মৃতি থিয়েটার প্রতিবছর এই উৎসবের আয়োজন করে।