ডেস্ক নিউজ
প্রতিটি গ্রামে আধুনিক প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে দেশজুড়ে ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড (টিবিএল)।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, বর্তমানে শহরাঞ্চলে বিদ্যমান টেলিটকের ‘ফোরজি’ নেটওয়ার্ক ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রসারিত করে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সুলভমূল্যে দ্রুতগতির ফোরজি ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হবে। বাংলাদেশের প্রতিটা গ্রামে ৫জি প্রযুক্তি নির্ভর মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।
চারটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- দেশের প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক প্রযুক্তির সেবার আওতায় আনা, দেশের প্রতিটি তরুণকে প্রযুক্তি জ্ঞান দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, প্রতিটি সেবাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়ে নিশ্চিত করা হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ যেন আধুনিক প্রযুক্তি সেবার উপকারভোগী হয়, তা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মূল কার্যক্রম হচ্ছে- ৯ হাজার ৪১০ সেট টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম কেনা, তিন হাজার বিটিএস সাইট নির্মাণ, ট্রান্সমিশন হাবের জন্য ১০০ সাইট প্রস্তুতকরণ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি কেনা, কাস্টমার কেয়ার ও আসবাবপত্র কেনা।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বলেন, প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। টেলিটক সরকারি প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য বেসরকারি ও বিদেশি অপারেটর ব্যবসার উদ্দেশ্যে সেবা দিয়ে থাকে। টেলিটক থাকায় বাকিদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। গ্রামে টেলিটকের ৫জি নেই। ২জি ও ৩জি আছে। বিদ্যমান অবকাঠামো কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি গ্রামে ৫জি দেয়ার সরঞ্জামও কেনা হবে প্রকল্পের আওতায়।