নিউজ ডেস্ক :
বাঙালির পারিবারিক বন্ধন এখনও অটুট। যেকোনো উৎসব এলেই তাই ছোটে আপন নিবাসে। বাড়ি ফেরে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে উৎসব উদযাপন করতে। ঈদ তেমনই একটি বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল ফিতরের এখনো বাকি ৪-৫ দিন। ঝামেলা, ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই তাই আগে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের। যারা কর্মজীবী, তারাই শুধু থাকছেন ঢাকায়। তারা বাড়ি ফিরবেন ঈদের এক বা দু’দিন আগে।
পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটছে মানুষ নিজ আলয়ের উদ্দেশ্যে। এতে সব সড়ক পথেই ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। হাজার হাজার যানবাহন ও যাত্রীর চলাচলে মহাসড়কগুলো এখন মুখরিত। তবে আগের ঈদের তুলনায় যানজট অনেক কম বলে পরিবহন কোম্পানি এবং সওজ সূত্রে জানা গেছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্নে রাখতে দেশের সকল রুটেই নেয়া হয়েছে আগাম প্রস্তুতি।
সারা দেশের ন্যায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশ সমন্বিতভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক পথকে সচল রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন ও বিআরটি কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় চার লেনের এ মহাসড়কটি বিভিন্ন স্থানে এক লেন বা দুই লেন হয়ে গেছে। এছাড়া ঢাকা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পার হলে টঙ্গীর আনারকলি রোডের সামনে মহাসড়কের উভয় পাশে রাস্তা গর্ত সৃষ্টি হয়ে গেছে। পিচঢালা পথে ইটের সলিং দিয়ে সড়ক সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের স্টেশন রোড, গাজীপুরা, সাইনবোর্ড ও চান্দনা চৌরাস্তায় ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে। চান্দনা চৌরাস্তাসহ মহাসড়কের উভয় পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ করায় রাস্তায় যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এতে মাঝে-মধ্যেই এ এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।
ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের দিকে ২৭টি রোডের যানবাহন গাজীপুর চৌরাস্তার উপর দিয়ে যাতায়ত করে থাকে। এর মধ্যে যানজট প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা এলাকায় এবারের ঈদে কোনো যানজট থাকছে না। এ দুটি স্থানে দুটি ফ্লাইওভার এবং দুটি ব্রিজ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগুলোর উদ্বোধন করেন।