সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় চালকের সহকারী রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই। সোমবার ভোরে গোবিন্দগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রশিদকে পিবিআই সিলেট কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শনিবার সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলাচলকারী ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই গাড়ির চালক ও হেলপাররা। এ সময় ওই কলেজছাত্রী গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
ওই ছাত্রীর বরাত দিয়ে তার চাচা গণমাধ্যমকে বলেন, দিরাই পৌর শহরে তাদের বাড়ি। তার ভাতিজি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার বড় বোনের বিয়ে হয়েছে সিলেটে। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশেই তাদের বাড়ি। বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায় সে। শনিবার দুপুরে সিলেট থেকে দিরাইগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে তাকে তুলে দেন তার বড় বোনের স্বামী। বাসটি যাত্রাপথে পথে বারবার থেমে যাত্রী ওঠানামা করতে করতে আসছিল। একপর্যায়ে বাসটিতে তার ভাতিজি একা হয়ে পড়ে। তখন সুযোগ পেয়ে বাসের সহকারী তার পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। ধস্তাধস্তির এক ফাঁকে তার ভাতিজি বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, একা পেয়ে বাসের চালক ও তার সহকারী মেয়েটির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিলেন। মেয়েটি তখন বাস থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে।
গুরুতর আহত ছাত্রী এখন সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সকালে তাকে নিউরোসার্জন বিভাগে নেয়া হয়।