ডেস্ক নিউজ
চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা বড়স্টেশন এবং জেলার মতলব উত্তরের ষাটনল এলাকায় দেশ-বিদেশের পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বেশকিছু প্রকল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এই জন্য শনিবার (১২ জুন) বিকেলে পর্যটন কর্পোরেশনরে চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নদীনির্ভর দর্শনীয় এই দুটি স্থান পরিদর্শন করেছেন।
এসময় চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা বড়স্টেশনে রেল বিভাগের সঙ্গে সমঝোতা করে সেখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। একই সঙ্গে জেলার মতলব উত্তরের ষাটনলেও আলাদাভাবে আরেকটি পর্যটন এলাকা প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ধারিত স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করেন তারা।
পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হান্নান মিয়া বলেন, চাঁদপুরে পর্যটন শিল্প প্রসারে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে শহরের তিন নদীর মোহনা বড়স্টেশন এবং জেলার মতলব উত্তরের ষাটনলকে ঢেলে সাজানো হবে। তবে এসব এলাকায় ভূমি নিয়ে যদি কোনো বিরোধ থাকে। তাহলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সেই বাধা দূর করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার। তা না হলে, সরকারের ইতিবাচক এসব উদ্যোগ ভেস্তে যেতে পারে।
তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে রেল মন্ত্রনালয় চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা বড়স্টেশনে পর্যটন শিল্প বিকাশে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। এখন শুধু পূর্বাঞ্চল রেল বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করলে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা যেতে পারে।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ব্র্যান্ডিং জেলা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকার বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজকে সঙ্গে নিয়ে পর্যটন বিকাশে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিট) ড. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) ইমতিয়াজ হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।