বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা আগামীকাল (৩০ সেপ্টেম্বর)। রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে রিফাতের পরিবার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির মাধ্যমে মাইলফলক হয়ে থাকবে এই রায়।
২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
প্রকাশ্যে এমন হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ২ জুলাই গোলাগুলিতে মারা যায় অন্যতম আসামি নয়ন বন্ড। এর ১৪ দিন পর মামলার মূল সাক্ষী রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয় মামলার অন্য আসামিরাও। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় স্ত্রী মিন্নিসহ আসামিরা।
এবছরের পয়লা জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ৭ জন এবং আসামিদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
তবে মিন্নিকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা তার পরিবারের। আইনের প্রতি শতভাগ আস্থা জানিয়ে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরও ন্যায্য বিচার প্রত্যাশা করছেন। তার দাবি মিন্নিকে এই মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হয় ৭৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ। করোনার কারণে ১৬৭ দিন পিছিয়ে যায় বিচার কাজ। সব মিলিয়ে হত্যাকাণ্ডের ৪৬১ দিন পর দেয়া হচ্ছে রায়।
মামলার এক আসামি মুসা এখনো পলাতক। অন্যদিকে, অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে ও ৬ জন কিশোর অপরাধ সংশোধনাগারে রয়েছে।
শাহ নেওয়াজ রিফাতকে (রিফাত শরীফ) ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন তারা। গুরুতর আহত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওইদিনই মারা যান।