নিউজ ডেস্ক
বিএনপিকে গণমুখী রাজনৈতিক দলে পরিণত করতে এবং তৃণমূলে দলের নেতৃত্ব বাড়াতে এখন থেকে সকল ধরণের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মূলত দলীয় সংকটাপন্ন অবস্থা বিবেচনায় মূলধারার রাজনীতিতে বিএনপিকে টিকিয়ে রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তারেক। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
যুক্তরাজ্য বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার বরাতে তারেক রহমানের এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নির্বাচনমুখী সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস বলেন, “দেখুন উপমহাদেশের রাজনীতি মূলত ভোটকেন্দ্রীক। বিএনপিও ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। শুনতে খারাপ লাগলেও এটি সত্য যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সংসদ ও রাজপথে প্রতিনিধিত্ব হারায় বিএনপি। যার কারণে রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিএনপি। রাজপথে না থাকার কারণে দলের উপর অত্যাচারের স্ট্রিম রোলার চালায় ক্ষমতাসীনরা। যাকে বলা হয় পলিটিক্যাল ভেনজিয়ান্স।”
তিনি আরো বলেন, “এছাড়া দলের অভ্যন্তরে একটি পক্ষ সবসময় ভোটের রাজনীতির পক্ষে কথা বলেছে। তাছাড়া বিএনপির বিদেশি বন্ধুরা নির্বাচনে থেকে হারানো গৌরব ফিরে পেতে তারেক রহমানকে বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন”। তাদের মতে, “রাজনৈতিক দল ভোটে অংশগ্রহণ না করলে পলিটিক্যালি সেই দলের অপমৃত্যু ঘটে, যা বিএনপির ক্ষেত্রে হচ্ছে। সত্যি বলতে, এই মুহূর্তে রাজনৈতিক আন্দোলনে গড়ে তুলতে হলে তথা জনগণকে পাশে পেতে চাইলে নির্বাচনমুখী হওয়া ছাড়া বিএনপির দ্বিতীয় কোন অপশন নেই। এক্ষেত্রে আমাদের উপায়হীনও বলতে পারেন আপনি।”
এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে লন্ডন বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেন, “বিএনপি গণমুখী দল। জনগণের জন্য রাজনীতি করে। তাই জনগণের চাহিদা মেটাতে বিএনপি এখন থেকে সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তাই বলে আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে তারেক রহমান এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি কিন্তু সত্য নয়। রাজপথে টিকে থাকতে হলে নির্বাচনকেন্দ্রীক রাজনীতির বিকল্প কিছু নেই, সেই বিষয়ে বিশদ গবেষণা করেই তারেক রহমান যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি নিয়ে অপরাজনীতির কোন সুযোগ নেই।”