মোবাইল চুরি হয়ে যাওয়ার পর গোমড় ফাঁস হয়ে যাওয়া ধর্ষক নওরোজ হিরাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বাকেরগঞ্জের আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক এসএম মাহফুজ আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নওরোজ হিরা বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কাকরধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন প্রলোভনে স্কুলের ছাত্রীদের সাথে প্রথমে সর্ম্পক স্থাপন এবং পরে তা শারীরীক সর্ম্পকে নিয়ে গোপনে ভিডিও করে রাখতো। অতঃপর চার বছর ধরে এভাবে ১১ কিশোরীকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছেন। ভিডিও ধারণ করে রাখা তার মোবাইলটি ১৭ অক্টোবর চুরি হয়ে যাওয়ার পর ১৯ অক্টোবর রাত ৯টা ২০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক কিশোরীকে ধর্ষণ করার ভিডিও এবং আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পরে।
এরপর ২৮ অক্টোবর এক ধর্ষিক কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আত্মসর্ম্পণ করেন হিরা। বিসয়টি জানিয়েছেন, আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামাল হোসেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর মারিয়া তার মেয়েকে হিরার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর হিরা নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২১ জুন ফের তার মেয়েকে ঘরে থেকে ডেকে নিয়ে হিরার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর হিরা পুনরায় তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে তার মেয়ে বাড়ি এসে ধর্ষণের ঘটনা জানালে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।