বড়াইগ্রাম সংবাদদাতা:
নাটোরের বড়াইগ্রাম মিল সচল এবং চিমনি না থাকায় ২৩ মিল থেকেচাল সরবরাহ না নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা খাদ্য কমিটি।প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বাদ পড়া ২৩ মিলের মালিকেরা।উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোকলেচ আল-আমিন জানান, চলতি বোরোমৌসুমে বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে ৩ হাজার ৮৯৯ টন চাল কেনারলক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাল সরবরাহের জন্য সংগ্রহের নিতীমালাঅনুসারে তিনটি অটোসহ ৭৮ টি মিলের বিপরিতে তালিকা জেলাথেকে গত বছরের রেকর্ড অনুসারে বিভাজন করে দেয়া হয়। পরবর্তীতেউপজেলা কমিটি যাচাই-বাছাই করে দেখেন তালিকার ৭৮টি মিলের মধ্যে২৩টি মিলের অবকাঠামো ঠিক থাকলেও তারা চাল উৎপাদন করছেন না।এছাড়া গুটি কয়েক হাসকিং মিলের চিমনি আছে। তখন উপজেলাকমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যেসকল মিলের অবকাঠামো আছে কিন্তুসচল নাই তাদের নিকট থেকে চাল নেয়া হবে না। এছাড়া যেসকল মিলসচল আছে কিন্তু চিমনি নাই তাদের মিলে চিমনি না লাগানো পর্যন্তচাল নেয়া হবে না। তিনি আরও জানান, বাদ পড়া ২৩ মিলের মালিকগণউপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত না নিয়েই জেলার বিভাজনের ভিত্তিতেনির্ধারিত জামানত (বিডি) করে ফেলেছেন। এ অবস্থায় অটো মিল এবংযেসকল মিলে চিমনি আছে তাদের নিকট থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছেগত ১২ মে। এদিকে বিধি মোতাবেক জামানত (বিডি) দেয়ার পরও চাল না নেয়ায়বাদপড়া ২৩ মিলারদের পক্ষে নাটোর সহকারী জজ আদালতে ২১মে একটিমামলা দায়ের করেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নাটোরের জেলাপ্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে।বাদপড়া ২৩ মিলের মধ্যে মামলার এক নম্বর বাদী জনতা চাল কলের মালিকআবু সাঈদ মন্ডল বলেন, আমার মিল আছে, ধান ছিলনা তাই সচল ছিলনা। ধানের মৌসুম শুরু হয়েছে মিল চালু হবে। তাহলে কেন আমাদেরকেবাদ রাখা হবে। জেলা থেকে বিভাজন করেছে, আমরা বিডিও করেছি।উপজেলা চাল-কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর বলেন,উপজেলা খাদ্য কমিটি চাল সংগ্রহ নীতিমালা অনুসারে সিদ্ধান্তনিয়েছেন। এ বিষয়ে কিছু বলার নাই। সভাপতি আবু হেনা মোস্তফাকামাল বলেন, আমরা এবারের মতো বিষয়টি মেনে নেয়ার অনুরোধকরেছিলাম। কিন্তু কর্তপক্ষ তা রাখলেন না।উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্য কমিটির সভাপতি মোঃআনোয়ার পারভেজ বলেন, চাল সংগ্র নীতিমালা অনুসারে সিদ্ধান্তনেয়া হয়েছে। এখানে উপজেলা কমিটির অনুমোদনের আগেই যদি কোনমিল মালিক জামানত (বিডি) করে থাকে তাতে আমাদের কিছু করারনাই। বাদ পড়া ২৩ মিল সম্পর্কে তিনি বলেন, লাইসেন্স আছে বলেইতো
যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যাদের লাইসেন্স নাই তাদেরতো কেউ খোঁজকরে না।