স্রেফ বোতলভর্তি পানি আর ভ্যাকসিন বিক্রি করে চীনের ধনীতম ব্যক্তি হয়েছেন ঝোং শানশান। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৫৮৭০ কোটি ডলার।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানায়।
ঝোং এখন এশিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি। তার আগে আছেন কেবল ভারতের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানী। বিশ্বে ধনীতমদের তালিকায় ঝোং আছেন ১৭ নম্বরে। চার্লস কোচ ও ফিল রাইটসের মতো অতি ধনীদের পিছনে ফেলে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন।
২০২০ সালে ঝোংয়ের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৫১৯০ কোটি ডলার। অ্যামাজন ডট কম ইনকরপোরেটেডের মালিক জেফ বেজোস ও টেসলা ইনকরপোরেটেডের এলন মাস্ক বাদে এবছর আর কারো সম্পত্তি এত বেশি পরিমাণে বাড়েনি। গত বুধবার অবশ্য অ্যামাজন আর টেসলা, দু’টি সংস্থারই শেয়ারের দর ব্যাপক কমেছে। এলন মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে এক হাজার কোটি ডলার।
ঝোংয়ের বোতলভর্তি পানির কোম্পানির নাম নংফু স্প্রিং করপোরেশন। হংকংয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ ব্র্যান্ডটি খুবই জনপ্রিয়। চলতি মাসের শুরুতে ঝোং চীনের তিন ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। গত এপ্রিলে চীনের ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা ওয়ানতাই বায়োলজিক্যাল ফার্মেসি এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত হয়। এর ফলে আগস্টে ঝোংয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার কোটি ডলার।
সাধারণত বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থার মালিকরা চীনে ধনীতমদের তালিকায় থাকেন। আলিবাবার মালিক জ্যাক মা গত ছয় বছর ধরে চীনের ধনীদের শীর্ষে ছিলেন। আপাতত ঝোং তাকে টপকে গিয়েছেন বটে কিন্তু সম্ভবত খুব শিগগিরই জ্যাক মা আগের অবস্থানে ফিরে যাবেন। পর্যবেক্ষকরা এমনই মনে করছেন।
গত বুধবার বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর শেয়ারের দর কমেছে। সবচেয়ে কমেছে আমেরিকায়। সবচেয়ে বেশি কমেছে এলন মাস্কের কোম্পানির শেয়ারের দাম। ব্লুমবার্গের ৫০০ জন ধনীতমের তালিকায় থাকা আর কোনো ব্যক্তির কোম্পানির শেয়ারের দর অত কমেনি। জেফ বেজোসের সম্পত্তির দাম কমেছে ৭১০ কোটি ডলার। এখন এলন মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩২০ কোটি ডলার। জেফ বেজোসের সম্পত্তির পরিমাণ ১৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।