নিউজ ডেস্কঃ
মেয়াদোত্তীর্ণ সর্বশেষ কমিটি বিলুপ্তির পর দীর্ঘ ২৮ বছরের মাথায় সরাসরি কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করার সুযোগ পেলো ছাত্রদল। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির সাংগঠনিক শক্তি যখন ক্ষয়িষ্ণু, তখন কমিটিকে ঘিরে দেখা যাচ্ছে নতুন সম্ভাবনা। তবে, সেই সম্ভাবনাও আশঙ্কামুক্ত নয়।
ছাত্রদলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের আগ্রহীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ-উৎসব দেখা গেলেও ভেতরে সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার আশঙ্কা করছেন সংগঠনটির নেতারা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দলের সর্বস্তরে সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এ সিদ্ধান্তের আলোকে ছাত্রদলের ‘বয়স্ক’ নেতাদের প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখেও সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব কাউন্সিলের মাধ্যমে বাছাই করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে হাইকমান্ড। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রদলের আগ্রহী ও ভোটার পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ইতিবাচক হলেও খোদ দলেরই দুটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে। একটি ইলিয়াস আলী গ্রুপ। অন্যটির নেতৃত্বে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। ইলিয়াস সিন্ডিকেটে অন্তত ১০-১২ জন সাবেক ছাত্রদলের শীর্ষ নেতা যুক্ত আছেন। গ্রুপের শীর্ষ এক নেতা বাদে বাকিরা ছাত্রদলের সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে ইলিয়াস আলী বলয়ের অন্যতম নেতা, ঢাকা মহানগর (বিএনপি) দক্ষিণের সভাপতি ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেন, এখন পর্যন্ত যা দেখছি, প্রার্থীরা কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলছেন, দীর্ঘদিন পর কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, এটাই তো সত্যি। অন্তরালের একটি গুঞ্জন শুনছি। তবে বিষয়টি কতদূর সত্য তা এখনও আমি জানি না।
ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত আপিল কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছে, সেটা সুবিধাবাদিতার অংশ। যদি এমন কিছু ঘটে, যা সংগঠন বিরোধী, রাজনীতির বিরুদ্ধে চলে যায়, গোষ্ঠী বা ব্যক্তি স্বার্থে কাজে লাগানোর জন্য সামনে আসে, তাহলে সেটা আপত্তিকর। কাউন্সিলের প্রারম্ভে যে অভিযোগ উঠছে তা যদি সত্যি হয় তবে অবশ্যই সেইসব নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।