নিউজ ডেস্ক:
ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বয়স সীমা তুলে দেওয়ার দাবিতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করেছে আগের কমিটির ছাত্রদল নেতারা।
গত ১১ জুন দাবি মেনে নেয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আশ্বাস দিলেও নতুন করে তৈরি হওয়া বিক্ষোভের প্রথম দিনেই বিক্ষুব্ধ নেতাদের হতাশ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের দাবিতে অনেক অসঙ্গতি থাকায় তা মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
রোববার (১৬ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গয়েশ্বর এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ছাত্রদল নেতাদের এই দাবি অন্যায্য এবং অযৌক্তিক। তাদের দাবি মেনে নেয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
এদিকে গয়েশ্বর চন্দ্র যখন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন, তার আগে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতারা ওই কার্যালয়ের সামনে দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন। তিনি নতুন করে ছাত্রদলের কর্মীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেন, গায়ের জোরে কেউ কমিটির নিয়ম পরিবর্তন করতে চাইবে, দলের হাইকমান্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে- এটা মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, তারা যদি এসব অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে গঠিত ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত ৬ জুন ভেঙে দেওয়ার পর বিক্ষোভ শুরু করেন সংগঠনটির নেতারা।
নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যে তিনটি যোগ্যতা নির্ধারণী শর্ত যোগ করা হয়েছে তা নিয়ে জোর আপত্তি রয়েছে সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ নেতাদের। ওই শর্তে বলা হয়েছে, নতুন কমিটিতে নেতা হতে হলে অবশ্যই ২০০০ সালের পরে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই শর্ত পূরণ করতে গেলে বর্তমানে সক্রিয় অনেক ছাত্রদল নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে পারবেন না বলেই তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। গত ১১ জুন তারা নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করে।
তারপর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে কথা বলে আশ্বস্ত হলে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে। পরে পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার প্রেক্ষিতে নতুন করে রোববার (১৬ জুন) থেকে নতুন কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রদলের কর্মীরা। দুই ঘণ্টা পর তারা উঠে গেলে ওই কার্যালয়ে থাকা বিএনপির অন্যতম নীতি-নির্ধারক গয়েশ্বরকে পেয়ে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের দাবির বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এর প্রেক্ষিতে তিনি দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন।