ডেস্ক নিউজ
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও ইংল্যান্ডের মিনিস্টার অফ স্টেট ফর বিজনেস, এনার্জি এন্ড ক্লিন গ্রোথ এন মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড একযোগে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় দুজন বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। এ সময় বাংলাদেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। আলোচনাকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রোকনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে। মন্ত্রী এসময় উন্নত দেশ হিসেবে প্যারিস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্যের অধিকতর সহযোগিতা কামনা করেন।
বনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ইংল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকেই ইংল্যান্ড বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে বনমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবলিটি ফোরাম’ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়াও গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপটেশন-এর আঞ্চলিক অফিস ঢাকায় স্থাপনের ফলে এ বিষয়ক কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।
সভায় ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য মিনিস্ট্রিয়াল ইভেন্টে আমন্ত্রণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রী ব্রিটিশ স্টেট মিনিস্টার ফর বিজনেস, এনার্জি এন্ড ক্লিন গ্রোথ এন মেরি ট্রেভেলিয়ানকে ধন্যবাদ জানান। সভায় দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করার বিষয়েও দুজন একমত পোষণ করেন।