ডেস্ক নিউজ
মানবজাতির প্রতি জাতির পিতার দর্শনই আমাদের সংবিধানের মূল ভিত্তি। এই ভিত্তিকে উজ্জীবিত রাখতে আমরা সবাই বদ্ধপরিকর থাকব। জাতির পিতার এই দর্শন এবং বাংলাদেশের সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ও সব পর্যায়ের অংশীদাররা সমন্বিত
প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় গতকাল বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা মালঞ্চে বিশ্ব শান্তিতে বাংলাদেশের ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বছর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য- বর্ণবাদের অবসান, শান্তি বিনির্মাণ। এই ধারণাকে সামনে রেখে নতুন প্রজন্মের কাছে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সক্রিয় এবং গৌরবময় ভূমিকা তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সব স্তরের অংশীদারের জন্য একটি সর্বজনীন সহায়ক ক্ষেত্র প্রস্তুত করাই হবে এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য।
সেমিনারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা উল্লেখপূর্বক বক্তব্য দেন। সেমিনারে সেনাবাহিনীপ্রধান তার বক্তব্যে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদান উল্লেখ করে সামগ্রিকভাবে শান্তিরক্ষীদের অর্জন তুলে ধরেন। পাশাপাশি এই অর্জনকে সমুন্নত রেখে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনে করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সেমিনারে বক্তারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক উদ্যোগের অন্তরায়সমূহ উল্লেখপূর্বক ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনারও প্রস্তাব করেন। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আতিকুল ইসলাম দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে শান্তি রক্ষায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।