ডেস্ক নিউজ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে (ইউএনজিএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রচারণা জোরদার করবেন। একইসঙ্গে সবার জন্য করোনার টিকা নিশ্চিতের বিষয়টিও তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। গত সোমবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এ কথা জানান।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের কল্যাণে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সশরীরে নিউইয়র্ক এসেছেন। জনগণের কল্যাণে কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক ইস্যুগুলো তিনি তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ওই দিন তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের যৌথভাবে আয়োজিত জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে ৩০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন।
ড. মোমেন বলেন, সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে সাধারণ বিতর্কে বাংলাদেশের প্রধান ইস্যু হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা। আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা আদায়ে দৃঢ় প্রচেষ্টা চালাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তিতে ফিরে আসায় ২০২১ সাল জলবায়ু ইস্যুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর। তাছাড়া আগামী নভেম্বরে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বেশকিছু ভালো ফল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতেমা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, জনগণের কল্যাণে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য অব্যাহত প্রচারণা এবং জোরালো ভূমিকা রাখায় শেখ হাসিনা বিশ্বের সাহসী নেতার মর্যাদা অর্জন করেছেন। প্রত্যেকটি দেশেরই কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়া করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া উচিত। যদিও এখন পর্যন্ত সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ১৫০০ আন্তর্জাতিক সভায় অংশ নিয়েছেন বলেও জানান ড. মোমেন।
ড. মোমেন জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সউদী আরব, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, জাম্বিয়া, আসিয়ান, ওআইসি এবং বাংলাদেশের মতো অংশীদারদের অংশগ্রহণে জাতিসংঘে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।