ডেস্ক নিউজ
বিএনপির মনোভাব সংস্কার নিয়ে সবচেয়ে জোরালো আওয়াজ তুলে আলোচনা এবং সমালোচনায় আছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বহুদিন থেকেই তিনি বিএনপির শুদ্ধির জন্য জামায়াতকে ত্যাগের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এ নিয়ে দলটির কোনো মাথাব্যথা লক্ষ্য করা যায়নি। এবার নতুন করে জামায়াতকে ছাড়তে তিনি ‘তালাক’ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট গঠনের কঠোর সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সব বিভেদ ভুলে গিয়ে জামায়াতকে তালাক দিয়ে রাস্তায় নামুন। জনগণ আপনাদের সঙ্গে এখন যতটুকু আছে, জামায়াত থাকলে তাও হারাবেন। ’
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি বিএনপির প্রতি এ আহ্বান জানান। মানববন্ধনে উপস্থিত থাকা আমীর খসরুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপির মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে হবে। জামায়াত জোটে থাকলে আন্দোলন হবে না। এই যে আমীর খসরু, এটি আপনাদেরই দায়িত্ব।
সম্প্রতিকালে বিএনপির ভুলত্রুটি নিয়ে নানা ধরণের সমালোচনার প্রেক্ষিতে জাফরুল্লাহকে নিয়ে বিব্রত অবস্থা পড়েছেন বিএনপি নেতারা। দলগত শুদ্ধির জন্য তিনি ব্যক্তিকেন্দ্রিক আক্রমণ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির শীর্ষ নেতারা না পারছেন জাফরুল্লাহর বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে, না পারছেন চুপ করে বসে থাকতে। এমন বাস্তবতায় বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতারা জাফরুল্লাহর সঙ্গে একান্ত বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ নেতাদের একজন বলেন, ডা. জাফরুল্লাহর বক্তব্য নিয়ে আমরা বিব্রত। তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিতর্কিত বক্তব্য দিচ্ছেন। যদি তার মতামত দেয়ার প্রয়োজন পড়ে তবে আমাদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে বসে এসব কথা বলতে পারেন। এখন অভ্যন্তরীণ জটিলতা নিয়ে কথা বলার চাইতে বিএনপির প্রয়োজন মাঠের রাজনীতিতে সোচ্চার হওয়া। আমরা তাই করছি। কিন্তু তিনি পড়ে আছেন বিএনপি দোষ-ত্রুটি তুলে ধরতে। বিষয়টি নিয়ে আমরা অচিরেই তার সঙ্গে বসবো।