নিজস্ব প্রতিবেদক:
তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান অস্ত্র দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পঙ্গু করে দিয়েছে। তিনি কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। নিজের রাষ্ট্রপতি পদ টিকিয়ে রাখতে হ্যাঁ-না ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়া।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজন বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১৩ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা সততা, সাহসিকতা দিয়ে অসংখ্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। যমুনা সেতু নির্মাণ করেছেন, দীর্ঘ ৭ কিলোমিটার স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা। মহাকাশে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট স্থাপন করেছেন, প্রত্যেক জেলায় শেখ কামাল হাইটেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেকচার সজিব ওয়াজেদ জয়। গ্রামে বসে বিদেশে অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন তরুণ-তরুণীরা। ১৬ হাজার ইউনিয়ন সেন্টারে ডিজিটাল সেবা মিলছে। ১৮ হাজার কমিউনিটি হেল্থ কেয়ারে স্বাস্থ্য সেবা মিলছে, ৫৬০টি মডেল মসজিদ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করছে শেখ হাসিনা সরকার। গত ১৩ বছরে দেশের অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, গীর্জা ও মন্দির নির্মাণ করেছে সরকার। ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙ্গালীকে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নে কাজ করেছেন। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের ৫ম স্থানে রয়েছে। গত ৩০ বছরে কোনো সরকার এত উন্নয়ন করেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি, ছাত্রদল-যুবদলকে পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা পচাত্তরের হাতিয়ারদের গর্জে উঠতে দিবে না। তারেক জিয়াকে ধরে ওয়ান ইলেভের সরকার দেশ থেকে বাহির করে দিয়েছিল। বেগম জিয়া এতিমদের টাকা মারার কারণে কারাগারে যান। কারাগার থেকে বের করে মানবিকভাবে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। আমরা মনে করেছিলাম হয়তো তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে কিন্তু তারা একাত্তরের রাজাকার ও পচাত্তরের নরপিশাচদের মত করেই কথা বলে। তাঁদের কোনো শিক্ষা হয়নি। ২০১৪ সালে সিএনজি যাত্রী, ট্রাক যাত্রী, পুলিশদের হত্যা করেছে বিএনপি। আগুন সন্ত্রাসীদের আর কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে তাঁদের জবাব দেয়া হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল, স্মার্ট রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবো। বিএনপি-জামায়াত সবসময় অস্ত্র ঠেকিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু এখন আর সুযোগ দেয়া হবে না। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল ছিলো বাংলাদেশের দুঃসময়। ঐক্যবদ্ধ আ’লীগ কাউকে হারাতে পারবে না।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এড. ওহিদুর রহমান শেখ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. জিল্লুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আ’লীগ নেতা আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা, মাওলানা রুহুল আমিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, মহিলা আ’লীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী, ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মিনহাজ উদ্দিন, লুৎফুল হাবিব রুবেল, পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহেল তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হাসান ইমাম, সাধারণ সম্পাদক মহন আলী, ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব ইসলাম জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হারুন বাসার প্রমুখ।