নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।
সোমবার (১ জুলাই) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। তবে জেল থেকে বের হয়েই দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন টুকু। দলের জন্য দীর্ঘ এক বছর কারাগারে থাকলেও কেউ তার বা তার পরিবারের খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন টুকু। তার অনুপস্থিতিতে যুবদলের বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে গেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুবদলের এই নেতা।
কেন্দ্রের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে টুকু বলেন, দল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ১৩৯টি মামলা দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। বিএনপির সবচেয়ে নির্যাতিত নেতাদের মধ্যে আমি একজন। অথচ জেলে যাওয়ার পর আমার সাথে কেন্দ্রের কোনো নেতাই দেখা করতে আসেননি। এমনকি আমার পরিবারেরও কোনো খোঁজ নেননি সিনিয়র নেতারা। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে?
তিনি আরো বলেন, আমি তো কারো কাছে অর্থ সাহায্য চাইনি। এতগুলো মামলায় দলীয় আইনজীবীদেরও তেমন সহযোগিতা পাইনি। তাহলে আমার সাথে কেনো এমন করলো কেন্দ্র? শুনলাম, ছাত্রদল নিয়ে দু’চারজন কেন্দ্রীয় নেতা অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন। অথচ আমি ছাত্রদলের সভাপতি থাকার সময় কোনো সিন্ডিকেট ছিলো না। বিএনপিকে দুর্বল করতে অভ্যন্তরীণ কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে। এদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে সকলকে।