ডেস্ক নিউজ
২০২০ সালের ১০ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সাথে তিন মাসের মধ্যে রায় বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশও দেয়া হয়। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এর দুই বছর পর রায়টি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকের এজেন্ডায় বিষয়টি থাকতে পারে বলে মন্ত্রী পরিষদ সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ। প্রায় আড়াই বছর আগে এই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছিল। জয় বাংলাকে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে নাÑ এই মর্মে আদালতের সেই নোটিশের ওপর সময় শুনানি হয়েছে। পরে ২০২০ সালের ১০ মার্চ এসে আদালত আবেদনটি নিষ্পত্তি করে তাতে আদেশ দেন।
বাংলায় দেয়া রায়ের আদেশের অংশে আদালত বলেন, আমরা ঘোষণা করছি যে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে। আদেশে আরো বলা হয়, জাতীয় দিবসগুলোয় উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারী ও রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান যাতে উচ্চারণ করেন, সে জন্য বিবাদিরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি শেষে ছাত্র-শিক্ষকেরা যাতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করেন, সে জন্য বিবাদিরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহাকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।