ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা গেছে সে কমপক্ষে ২মাসের বেশী অন্তঃসত্ত্বা। অসহায় পরিবার আদালতে( নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে) মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু এখনো কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। পরিবারটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে। শৈলকুপা উপজেলার ১০নং বগুড়া ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে সেপ্টেম্বর মাসে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পরপরই কিশোরীর মা মিলন মোল্লা (৩৫), বিপ্লব ওরফে পিকলা, মহম্মদ আলী শেখ, ফরিদ মুন্সী ও কাশেম মোল্লা এই পাঁচজনের নামে আদালতে মামলা করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে আদালতের আদেশে শৈলকুপা থানা এই মামলাটি গ্রহণ করে। তবে এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো আসামিরা মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে এবং কোনোভাবে রাজি করাতে না পেরে হুমকির পাশাপাশি হামলা চালিয়েছে বলে কিশোরীর মায়ের অভিযোগ।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী মা বলেন, স্বামীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তাঁর দুই মেয়ে,বড় মেয়ের (২২) বিয়ে হয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছে ছোট মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।
ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে কিশোরীর মা আরো জানান, তিনি গ্রামের এক প্রতিবন্ধী নারীকে দেখাশোনার কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো গত ৫ জুলাই তিনি সেখানে কাজে যান। এ সময় মেয়ে বাড়িতে একাই ছিল। বাড়িতে ফিরে দেখেন মেয়েটি কেমন যেন অস্বাভাবিক আচরণ করছিল, সবকিছুতে ভয় পাচ্ছিল। মাসখানেক পর মেয়ের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তিনি মেয়েকে নানা প্রশ্ন করেন। মেয়ে তখন ভয়ে কিছু বলতে চায়নি। পরে জানায় যে মিলন মোল্লা তাকে ধর্ষণ করেছে। তাকে ধর্ষণে সহযোগীতা করে আরোও কয়েকজন । এসব কথা কাউকে বললে মা-মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন মিলন। ফলে তার কিশোরী মেয়ে ভয়ে আগে মুখ খোলেনি।
এব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোন আসামী এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, সবাই পলাতক, অভিযান চলছে।