ডেস্ক নিউজ
তার আসল নাম শোয়েব আলী বুখারি। ক্রিকেট অঙ্গন তাকে চেনে টাইগার শোয়েব হিসেবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও ক্রিকেট দলকে সমর্থন জানানোর জন্য তার উন্মাদনা বিশ্বব্যাপী খ্যাত। সেই শোয়েবকে এবার ভারতে নির্বিঘ্নে খেলা দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মা।
এদিকে ভারতের কড়া নিরাপত্তায় স্বদেশী সুধীর ভালোভাবে মাঠে থাকতে পারলেও শোয়েবের ক্ষেত্রেই নেমে আসে নানা বিধি-নিষেধ। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমনটি অস্বাভাবিকও নয়। তবে শোয়েবের এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন রোহিত শর্মা।
এ ব্যাপারে শোয়েব বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালে রোহিতের সাথে দেখা হয়নি। অনুশীলনের সময় গ্যালারিতে ছিলাম, রোহিত আমাকে দেখে ইশারা করেন। রোহিত ইশারা দিয়েছেন দেখে সিকিউরিটিরা সরে যায়, মাঠে ঢুকি। জিজ্ঞেস করল দেখা করিনি কেন। বললাম- ভাই, সিকিউরিটি অনেক কঠোর এখানে। দেখা করার চেষ্টা করেছি, পারিনি। বলল- নিচে আসো। গেলাম। দেখা হল, কথাবার্তা হল। কোথায় আছি খোঁজখবর নিল। এরপর একজন উপরে পাঠাল। সুধীর নিয়ে গেল আমাকে। ওখানে কার্ড বানায়। আমার ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি রাখল। চারটার সময় আসতে বলল। চারটায় গিয়ে দেখি আমার কার্ড হয়ে গেছে।’
এ সময় শোয়েব আরও বলেন, ‘এটা আনন্দের খবর এই কারণে- আমি সবসময় বাংলাদেশ দলের পাশে থাকতে চাই। পাশে থেকে চিৎকার করতে চাই, পতাকা উড়াতে চাই। তিনটা টি-টোয়েন্টিতে ঠিক পাশে থাকতে পারিনি। কারণ টিকিট পেতাম দূরের গ্যালারির। সেজন্য মন খারাপ হত। ভাবতাম- দলের কাছে থাকার মত টিকিট হলে ভালো হত। কার্ড দিয়ে এখন আমি যে গেট দিয়ে ইচ্ছা হয় ঢুকতে পারব, বের হতে পারব, যতবার খুশি। দলের কাছাকাছি থাকতে পারব- এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া, আনন্দের বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘কার্ড হওয়ার পর আর রোহিতের সাথে কথা হয়নি। বাসে ওকে ইশারা করি। বললাম- হোটেলে তোমার সাথে দেখা করব। অন্যরকম একজন মানুষ। এত বড় একজন ব্যক্তিত্ব, ক্রিকেটার। অথচ এত সুন্দর মন-মানসিকতা। অনেক ভালো লাগল।’
এ সময় শোয়েব জানান, এই কার্ড ব্যবহার করে মাঠের যেকোনো প্রান্তে উপস্থিত হতে পারবেন তিনি। কাছে থেকে দেখতে পারবেন ক্রিকেটারদের, সমর্থন দিতে পারবেন টাইগারদের। আর পুরো বিষয়টি সম্ভব হয়েছে রোহিতের নির্দেশে।