দাম কম থাকায় ট্রাকভাড়া না দিয়েই চার হাজার ফুলকপি রেখে ব্যবসায়ীর পালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও এলাকার দুই ব্যবসায়ী চার হাজার ফুলকপি কিনে ঢাকায় আড়তে বিক্রির জন্য নিতে ১৭ হাজার টাকায় একটি ট্রাক ভাড়া করেন। ট্রাকটি রবিবার রাতে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজায় পৌঁছালে সেখানে ওজন স্টেশনে চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পরে ট্রাকটি দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইল পৌঁছে। এদিকে ঢাকায় আড়তে সকাল ৭টা পর্যন্ত মালামাল বেচাকেনা হয়। টাঙ্গাইল এলাকাতেই দুপুর হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ফুলকপি বিক্রির জন্য ট্রাকটি নিয়ে টাঙ্গাইলের পার্ক বাজারে যান। সেখানে কপির দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা ট্রাকবোঝাই কপি রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। এরপর কোনও উপায় না পেয়ে ট্রাকচালক ও ট্রাকটির মালিক কপিগুলো নিয়ে জেলার বাসাইল হাটে ওঠান। সেখানে তারা ট্রাকের তেল খরচ উঠাতে ২০ টাকায় পাঁচটি কপি বিক্রি শুরু করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা অল্প কিছু কপি বিক্রি করতে পেরেছিলেন। ট্রাকচালক তোফাজ্জল হোসেন ও ট্রাকের মালিক আজহার আলী জেলার বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে ফুলকপি ব্যবসায়ীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ট্রাকচালক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও এলাকার দুই ব্যবসায়ী চার হাজার ফুলকপি কিনে সেগুলো ঢাকায় নিতে আমাদের ট্রাকটি ১৭ হাজার টাকায় ভাড়া করেন। ট্রাকটি বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজার স্কেলে চার ঘণ্টা আটকে ছিল। এজন্য টাঙ্গাইল পৌঁছাতেই দুপুর হয়ে যায়, কিন্তু ঢাকার আড়তগুলো ভোরে শুরু হয়।’
ট্রাকের মালিক আজহার আলী বলেন, ‘ভাড়া না দিয়েই ব্যবসায়ীরা পালানোর পর কপিগুলো বাসাইল হাটে উঠানো হয়। পাঁচটি কপি ২০ টাকায় বিক্রি করেছি। এ পর্যন্ত অর্ধেক কপিও বিক্রি করতে পারিনি। ট্রাকের তেল খরচ উঠবে কিনা সেটাও জানি না।’
এদিকে বাসাইল হাটে গিয়ে দেখা গেছে, দাম কম থাকায় ব্যবসায়ীরা কেজিতে বিক্রি না করে চার-পাঁচটি ফুলকপি ২০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন। গত দুই দিন আগেও টাঙ্গাইলে কপির দাম ছিল চড়া। হঠাৎ করে কপির দাম কমে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।