ডেস্ক নিউজ
চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপকারীদের ধরিয়ে দিলে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার কমলাপুর স্টেশন থেকে জয়দেবপুর স্টেশন পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও সভা করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
ঢাকা রেলওয়ে রেঞ্জের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেছেন, চলতি বছর পাথর নিক্ষেপের অভিযোগে ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। পাথর নিক্ষেপ রোধে ইতিমধ্যে কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি পাথর ছোড়ার ছবি তুলে আমাদের পাঠাতে পারেন বা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেন, তাহলে আমরা সংবাদদাতাকে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেব।
সম্প্রতি ঢাকা বিভাগে ৭৬টি চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে টঙ্গী ও ভৈরব এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তেজগাঁও ও টঙ্গীতেও ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে চলন্ত ট্রেনে ১১০ বার পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ট্রেনের ১০৩টি কাচ ভেঙেছে।
রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাদিকুর রহমান বলেন, আইনে আছে, পাথর ছোড়ার কারণে ট্রেনের বা যাত্রীদের ক্ষতি হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে। তারপরও কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি। রেলওয়ে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, বেশির ভাগ সময়েই রেললাইনের পাশে বস্তি থেকে পাথর ছোড়া হয়। কারণ, এসব বস্তিতে প্রায়ই উচ্ছেদ চালায় রেলওয়ে। খেলার ছলেও পাথর মারে কেউ কেউ। অনেক সময় ছোট ছেলেমেয়েরা পাথর নিক্ষেপ করে।