বছর দুইয়ের চেয়ে দুমাসের কিছু বেশি সময়। আগেরটা ছিল রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল, এবার উয়েফা নেশনস লিগের মঞ্চ। প্রতিপক্ষ সেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স আর রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। মঞ্চ বদলেছে, বদলাল না ফলাফল।
২০১৮ সালের ১৫ জুলাই। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ২-৪ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। ২৬ মাস পর আবারও মুখোমুখি দু’দল। এবার মঞ্চটা ভিন্ন; উয়েফা নেশন্স লিগ। তবে ম্যাচের ফল কিন্তু একই- ৪-২। জয়ী দলের নামটিও ফ্রান্স। মঙ্গলবার স্টেট ডি ফ্রান্সে উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচটি ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের কার্বন কপি। ছয় গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে জিতে নেশন্সে ‘এ’ লিগের তিন নম্বর গ্রুপের ম্যাচে টানা দুই জয় পেয়েছে দিদিয়ের দেশমের দল। বিপরীতে টানা দুই ম্যাচ হেরেছে ক্রোয়াটরা। আর এই ম্যাচ দিয়ে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার। ফরাসি ফুটবলে গত ৯৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছে তার। কামাভিঙ্গার বয়স ১৭ বছর ৯ মাস।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন ফ্রান্স কোচ দেশম। ম্যাচের প্রথমার্ধে বল দখলে মনোযোগী ছিল দু’দল। শুরুতে লিড নেয় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ১৬ মিনিটে কর্নারে একজনের হেডের পর ডান পায়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই জায়গা বের করে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক দিয়ান লভরেন। ৪৩ মিনিটে সমতার স্বস্তি ফ্রান্স শিবিরে। অ্যান্থনি মার্শিয়ালের কাছ থেকে বল পেয়ে নিখুঁত শটে গোল করেন অ্যান্তোনিয় গ্রিজম্যান। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্রোয়েশিয়ার লিভাকোভিচ নিজেদের জালে বল পাঠালে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। বিরতির পর ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান জসিপ ব্রেকালো। ক্ষণে ক্ষণে রং বদলানোর ম্যাচের ৬৫ মিনিটে আবারও লিডনেয় ফ্রান্স। গোল করেন দায়োত উপামেকানো। আর ৭৭ মিনিটে সব অনিশ্চয়তা দূর করেন অলিভার জিরুদ। স্পট কিকে গোল করেন তিনি।নতুন ফরমেশনে খেলে সাফল্য পাওয়ায় খুশি ফরাসি কোচ দেশম, ‘আমরা দারুণ ফুটবল খেলেছি। প্রথম এবং দ্বিতীয় ম্যাচের মধ্যে আমি সাতটি পরিবর্তন আনি। আর আমার এই ফরমেশনে ছেলেরা ভালো খেলেছে।’