নিউজ ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে নানা ভাবে বিতর্কিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ড. কামালের সঙ্গে বিএনপিকে যুক্ত করাও ছিলো মির্জা ফখরুলের সিদ্ধান্ত। এ কারণে বিএপির অভ্যন্তরেই তাকে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়।
এছাড়া সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে জয়ী প্রার্থীদের প্রথমে শপথ গ্রহণে বাধা এবং পরে সকল নেতাকে শপথ গ্রহণ করিয়েও সমালোচিত হন মির্জা ফখরুল। সর্বশেষ ছাত্রদলের বিদ্রোহের কারণ হিসেবে দলের অনেক নেতাই মির্জা ফখরুলকে দায়ী করছেন।
এমতাবস্থায় ডিসেম্বরে কাউন্সিলের কথা ভাবছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। মির্জা ফখরুলের অবর্তমানে দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে স্কাইপে আলোচনায় তারেক রহমান এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কাউন্সিল করতে চান বলে জানান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তৃণমূল থেকে জোর দাবী উঠেছে। কাউন্সিলের আগেও হয়ত মির্জা ফখরুল ইসলামকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো কে হবেন বিএনপির পরবর্তী মহাসচিব? এ ব্যাপারে বিএনপির মধ্যে একাধিক মত আছে। তবে তারেক রহমানের প্রিয়ভাজন তিনজনের যেকোনো একজন বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে হয়তো বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনেরও অবসান ঘটবে এবং তারেক রহমান বিএনপির পূর্ণাঙ্গ চেয়ারম্যান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন। মহাসচিব হিসেবে এখনও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকল্প কে হবেন তা নিশ্চিত হয়নি। তবে তারেক রহমানের পছন্দের মধ্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং মির্জা আব্বাসের নাম আলোচিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।