যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের বিলম্বিত ফলকে চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। হোয়াইট হাউজ থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন এ রিপাবলিকান প্রার্থী।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির আভাস অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ২৩৬টি ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন বাইডেন। বিপরীতে ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ২১২। তবে পিছিয়ে থাকলে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর বিবেচনায় ট্রাম্প আসলে এগিয়েই আছেন। ভোটের চেহারা বদলে দেওয়ার মতো অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে নেভেদায় জয় পেতে যাচ্ছেন বাইডেন। অপরদিকে ক্যারোলিনার ইলেক্টোরাল ভোট ১৫টি, জর্জিয়ার ১৬টি, উইসকনসিনের ১০টি, পেনসেলভেনিয়ায় ২০টি, মিশিগানের ১৬টি। এই রাজ্যগুলোতে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে এগিয়ে থাকা পাঁচটি রাজ্যের মোট ৭৭টি ইলেক্টোরাল ভোট যোগ হয়ে গেলেই কাঙ্ক্ষিত ২৭০-এর নাগাল পেয়ে যাবেন ট্রাম্প।
ভাষণে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ডেমোক্র্যাটরা তার সমর্থকদেরকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান জনগণের সঙ্গে এ এক জালিয়াতি হয়েছে। এটি আমাদের দেশের জন্য লজ্জার। আমরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। খোলাখুলিভাবে বললে বলতে হয়, আমরা নির্বাচনে জিতে গেছি।’
ট্রাম্প ভিত্তিহীনভাবে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত পাওয়া ফল অনুযায়ী তিনি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বলা যায় না। কারণ, দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ব্যাপারে চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি। তবে ট্রাম্প যে এমনটা করতে পারেন, আগেই তার আভাস মিলেছিল। ৩১ অক্টোবর (শনিবার) নিউজ পোর্টাল অ্যাক্সিওসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠজনদের বলেছেন; মঙ্গলবার রাতে যদি ‘এগিয়ে থাকার’ আভাস পান তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল জানানোর আগেই তিনি নিজেকে বিজয়ী বলে ঘোষণা দেবেন। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য শুনেছেন এমন তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল অ্যাক্সিওস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বেশ কয়েকটি রাজ্য আগামী ৩ নভেম্বর নির্বাচন শেষে ভোট গণনা শুরু করবে। আবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ভোট গণনা শুরু করবে ৩ নভেম্বরের পর। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল পেতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে। তবে ট্রাম্প চান নির্বাচনের রাতেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা দিতে। অ্যাক্সিওস-এর প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন, ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব গণনা শেষ করানোর চেষ্টা করবেন।