ডেস্ক নিউজ
চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে রাজধানীর বিভিন্ন খাল থেকে প্রায় ৭৫ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
ডিএনসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে খালগুলো থেকে প্রায় ৬৫ হাজার মেট্রিক টন ভাসমান বর্জ্য এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য আরও প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন স্লাজ অপসারণ করা হয়। ইতোমধ্যে যেসব খাল থেকে ভাসমান বর্জ্য ও স্লাজ অপসারণ করা হয়েছে সেসব খালের পানিপ্রবাহও সচল হয়েছে।
খালগুলো পরিষ্কার করার পর গত বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে ‘মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়েছে’ বলেও দাবি করেছে ডিএনসিসি। সংস্থাটি বলছে, অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়োবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএনসিসি বলেছে, খাল কোনো ডাস্টবিন নয়, ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য নিক্ষেপের স্থানও নয়, এটি জলাধার। কোনো সচেতন নাগরিক খাল কিংবা অন্য কোনো জলাশয়ে বর্জ্য নিক্ষেপ করতে পারেন না। তাই নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা ওয়াসার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক মোতাবেক ঢাকা ওয়াসা ২৯টি খাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, ডিএনসিসির উদ্যোগে জনগণের সহায়তায় খাল উদ্ধার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।