রাজধানীর আশকোনায় হতে যাচ্ছে প্রস্তাবিত ‘বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালটি প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের পরিকল্পনা, অর্থ বরাদ্দ ও স্থান নির্বাচনের কাজ শেষ হয়েছে। দক্ষ বৈমানিক, বিমান প্রকৌশলীর তৈরির লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালটি প্রতিষ্ঠিত হলে এতে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিমান ও আকাশ বিজ্ঞানের প্রকৌশল, আইসিটি ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হবে। শুরুতে তিনটি ফ্যাকাল্টির অধীনে ১০টি বিভাগ চালু করা হবে। এরই মধ্যে বিভাগগুলোর জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর বিশেষায়িত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এখন চলছে আইন তৈরির কাজ।
এটিই হচ্ছে দেশের প্রথম এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিষয়ে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানীর আশকোনায় ১২ একর জমির ওপর এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার একটি অত্যাধুনিক ও নেতৃস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ঢাকায় ‘বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়টি’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সম্মতি দিয়েছেন।