নিউজ ডেস্ক :
তিন বছর আগে কাউন্সিলের পর বিএনপি ১৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটির নাম ঘোষণা করেছিল। সেখানে কিছু পদ শূন্য থাকলেও কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে কয়েকজন মারা গেছেন। এতে শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েছে। বুধবার ১৯ জুন দু’জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাকি পদগুলোও পূরণ করার কথা ভাবছে দলটি। তাতে বিবেচনায় আছেন দলের ছয় জন ভাইস চেয়ারম্যান। তবে এই আট জনের মধ্যে নেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নাম। এতে খানিকটা হতাশা দেখা যায় মির্জা ফখরুলপন্থী নেতাদের চোখে।
জানা যায়, ১৫ই জুন শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বৈঠকে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মির্জা আব্বাসের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এসময় রাগে ক্ষোভে মির্জা ফখরুলকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন মির্জা আব্বাস।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুলপন্থী এক নেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মূলত মির্জা ফখরুল স্থায়ী কমিটির সদস্য নয় বিধায় মির্জা আব্বাস তাকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন। তবে আমরা মনে করেছিলাম, এবারের কাউন্সিলে মির্জা ফখরুলকে স্থান দেয়া হবে। কিন্তু তারেক রহমান তাকে স্থান দিলেন না, এটা খুবই হতাশাজনক।
দলের কাউন্সিল বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এবারের কাউন্সিলে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। দু’জনই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই দুই নেতাকে স্থায়ী কমিটিতে যুক্ত করার ঘোষণা দেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল সাহেবের উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। এটা খুবই দুঃখজনক।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেন, মির্জা ফখরুলের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তবে অনেকেই বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে স্থায়ী কমিটির সদস্য না বানানোর কারণেই তিনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হননি। এ বিষয়টি সত্যি হলেও হতে পারে। কারণ মির্জা ফখরুল দলের জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু তারপরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়নি। আমরা মনে হয়, এই রাগে ক্ষোভে মির্জা ফখরুল মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগও করতে পারেন।