ডেস্ক নিউজ
চলমান দলীয় অসন্তোষ, সীমাহীন চাঁদাবাজি, লবিংয়ের জেরে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়া এবং উপযুক্ত মূল্যায়ন না পাওয়ায় এবার বিএনপির সব ধরণের রাজনীতি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও ছেলে তাবিথ আউয়ালের অনুরোধে পদত্যাগ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছেন মিন্টু। মেয়র প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে মিন্টু পদত্যাগ করলে তাবিথ আউয়ালের কপাল পুড়তে পারে- এমন শঙ্কায় দ্বিধায় পড়েছেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলে গুঞ্জন চাউর হয়েছে বিএনপির রাজনীতিতে।
আব্দুল আউয়াল মিন্টুর পদত্যাগ নিয়ে চলমান গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মিন্টুর এক ব্যবসায়ী বন্ধু বলেন, বিএনপির দুঃসময়ে যিনি সবচেয়ে বেশি আর্থিক সুবিধা দিয়েছেন তিনি হলেন আমাদের মিন্টু ভাই। দলকে সবকিছু উজাড় করে দিলেও মিন্টুর প্রাপ্তির খাতাটা শূন্য বলা চলে। তিনি শুধু অকাতরে বিএনপিকে দিয়ে গেছেন মোরশেদ খানের মতোই। অথচ মোরশেদের মতো মিন্টুও লবিং-গ্রুপিংয়ের কারণে দলের উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছেন না। তাই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, সামনে যেহেতু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। আর সকলেই জানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির প্রার্থী হবেন তার ছেলে তাবিথ আউয়াল। কারণ তাবিথ ছাড়া এখানে বিএনপির উপযুক্ত প্রার্থী নেই। তাই তার পদত্যাগে যেন তাবিথকে মনোনয়ন বঞ্চিত না হয়, সেটি আমরা তাকে অনেক বুঝিয়েছি। দলের পেছনে অনেক বিনিয়োগ করেছে মিন্টু ও তার পরিবার। তাই হুট করে মাথা গরম করলে দুদিকেই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তাবিথের বিশেষ অনুরোধে মিন্টু আপাতত পদত্যাগ করছেন না, তবে কতদিন পর্যন্ত তাকে আটকিয়ে রাখা যাবে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। বিএনপির হাইকমান্ডের উচিত সিনিয়র নেতাদের সঠিক মূল্যায়ন করা।