ডেস্ক নিউজ
থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট-এফটিএ) স্বাক্ষর করতে চায় বাংলাদেশ। থাইল্যান্ডেরও তাতে সম্মতি রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর এ বিষয়ে দুদেশের মধ্যে তৎপরতা শুরু হবে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে থাইল্যান্ডের জাতীয় দৈনিক। খবর ব্যাঙ্কক পোস্টের।
দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য যোগাযোগ ও আলোচনা বিভাগের মহাপরিচালক অরামন সুপথাউইথাম এ সম্পর্কে বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার সম্প্রতি আমাদের বলেছে- তারা থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায়। এ বিষয়ে ওই দেশের সরকার ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে।’ ‘আমরা বাংলাদেশের সরকারকে এই বছরের মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ শেষ করার অনুরোধ করেছি। যদি এটি সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে আগামী বছর ষষ্ঠ জেটিসি (যৌথ বাণিজ্য কমিটি) বৈঠকে দুদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর বিষয়ক তৎপরতা শুরু হবে।’ আগামী বছর কোন মাসে জেটিসি বৈঠক হবে, তার সূচী এখনও নির্ধারিত হয়নি। অরামনের মতে, ভৌগলিকভাবে থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ উভয় দেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থল ও সমুদ্রপথে এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বজায় রাখতে সক্ষম। অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থান ভারত মহাসাগরের সন্নিকটে। চীনের বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভসের অন্যতম অংশীদার এই দেশটি দিন দিন দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোর বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে উঠছে। ভারত ও পাকিস্তানের পর দক্ষিণ এশিয়ায় থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার দেশের নাম বাংলাদেশ। ২০২০ সালে প্রথম দুদেশের মধ্যে জেটিসি বৈঠক শুরু হয় এবং সে সময় থেকেই এফটিএ’র সম্ভাবনার বিষয়টি আলোচনায় আসে। বর্তমানে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৭৮৫ মিলিয়ন ডলার। ২০০৬ থেকে ২০১৯ এই ১৫ বছরে বাংলাদেশের কৃষি, খামার শিল্প, ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণ শিল্প, হোটেল প্রভৃতি খাতে থাইল্যান্ডের মোট বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। একই সময়সীমায় থাইল্যান্ডের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের মোট বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন ডলার। এফটিএ’র পাশাপাশি থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সমুদ্রবন্দর রানোংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়েও আগামী বছর আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অরামন সুপথাউইথাম।