ডেস্ক নিউজ
চলমান করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনেও থেমে নেই সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ। সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দ্রুত গতিতে চলছে মাটিকাটা ও ব্রিজ নির্মাণ, রেলট্র্যাকসহ অন্য কাজগুলো। বর্ষা মৌসুমে কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে- এমন আশঙ্কায় প্রকল্পের মাটি কাটা, ব্রিজ নির্মাণের কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গত মার্চ শেষে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৪ শতাংশ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. মফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্যতম হচ্ছে এ প্রকল্প। শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন মিলে কিছুটা সমস্যা হলেও করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য শ্রমিকদের প্রকল্প এলাকায় রেখে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে মাটিকাটা, ব্রিজ নির্মাণকাজ ও রেলট্র্যাক বসানোর কাজ চলছে। প্রকল্প সূত্র জানায়, জানুয়ারী থেকে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে কক্সবাজার সদরের রামু উপজেলার পানির ছড়া বাজার এলাকা থেকে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ কিলোমিটার রেলট্র্যাক বসানো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৮-১০ কিলোমিটার রেললাইন বসানো যাবে। ওই এলাকার পানিরছড়া বাজারের দলিরছড়া মৌজা থেকে শুরু হয়ে কক্সবাজারের দিকে লাইনটির কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে থেকেই চলছে প্রকল্পের আওতাধীন মাটি কাটা, ব্রিজ নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং, কালভার্ট, স্টেশন তৈরিসহ প্রকল্পের সার্বিক কাজও। এ রেললাইনটি দ্রুত নির্মাণের মাধ্যমে যাতায়াত শুরু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ সারা দেশের সঙ্গে অর্থনীতি, পর্যটক পরিবহনসহ সার্বিক যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থারও উন্নয়ন ঘটবে। একই কথা বললেন প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক (এপিডি) আবুল কালাম চৌধুরী। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প চট্টগ্রাম হয়ে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণের প্রায় ৫৪ শতাংশের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি আগামী ২০২২ সালের শেষ দিকে সম্পন্ন করার টার্গেট নির্ধারিত আছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিমি, রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিমি এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। ১২৮ কিমি. রেলপথে স্টেশন থাকছে নয়টি। এগুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম। এতে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম।