নিউজ ডেস্ক
সমাজের সুষমও উন্নয়নে দক্ষ জনশক্তি গড়তে পুরুষের পাশাপাশি প্রয়োজন নারীর কারিগরি শিক্ষা। আর এ জন্য সরকার দক্ষ প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে মেয়েদেরকে নিরাপত্তার বলয়ে রেখে লেখাপড়ার সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় এ বৃত্তি প্রদান করছেন সরকার।
কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাই বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারে। তাই প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণ, যুগ-উপযোগী শিক্ষা উপকরণসহ দক্ষ প্রশিক্ষক।
জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে দরকার দক্ষ জনশক্তির। আর দক্ষ জনশক্তির জন্য প্রয়োজন নানামুখী কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। আর একজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তি জনসম্পদে পরিণত হয়ে আত্মকর্মসংস্থানে সচেষ্ট হতে পারে এবং স্বাবলম্বী হয়ে দেশের বেকার সমস্যার সমাধানে রাখতে পারে বিরাট অবদান। এ উন্নয়নে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা এগিয়ে আসলে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
আর এ জন্যই সরকার হাতে নিয়েছে মেয়েদের জন্য বহুমুখী কারিগরি শিক্ষা । কারণ, বৃত্তিমূলক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে পারলে গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষিসহায়ক শিল্পখাতে বিরাট পরিবর্তন আসবে। শিল্পে মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে কারিগরি শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রয়োজন বলেই মনে করেন সরকার।
তাছাড়া, এসএসসি কিংবা এইচএসসির পর অনেক মেয়ের পক্ষে অর্থনৈতিক সামর্থ্যের অভাবে উচ্চ শিক্ষায় যাওয়া সম্ভব হয় না। এ সকল সমস্যা দূরীকরণে মেয়েদের জন্য ডিপ্লোমা শিক্ষার নানা কোর্সের সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।
এখন নারীদের সরকারের দেয়া আর্শিবাদমূলক এ সুযোগকে কাজে লাগাতে কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি। কারিগরি শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ কর্মসংস্থানে নারী-পুরুষ বৈষম্য যেমন কমাবে, তেমনি পরিবারে নারীর মর্যাদা বৃদ্ধি করে ভূমিকা রাখবে সামাজিক অর্থনৈতিক জাগরণে।