ডেস্ক নিউজ
ঢাকা থেকে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করে নতুন শিডিউল ঘোষণা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমান জানায়, এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় আগামী ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে চারটি এবং ঢাকা-দিল্লি রুটে সপ্তাহে পাঁচটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা। এত দিন ওই দুই রুটে সপ্তাহে দুটি করে মোট চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করত বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম, জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা-কলকাতা রুটে প্রতি সপ্তাহে সোমবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার এবং ঢাকা-দিল্লি রুটে প্রতি সপ্তাহে বুধবার, বৃহস্পতিবার, শনিবার, রোববার ও সোমবার ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় কলকাতার উদ্দেশে এবং কলকাতা থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। অন্যদিকে, ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় দিল্লির উদ্দেশে এবং দিল্লি থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে বিমান।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ভারতে যাওয়া যাত্রীদের ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট নিতে হবে। পাশাপাশি কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর ভ্রমণকারীদের নিজ খরচে মলিকুলার টেস্ট করাতে হবে।
এদিকে, এয়ার বাবলের আওতায় আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এয়ার বাবল বা ‘আকাশ-বুদবুদ’ কী
বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধের সময় দুটি দেশ যখন বিশেষ ব্যবস্থায় নিজেদের মধ্যে বিমান যোগাযোগ স্থাপন করে, তাকে ‘এয়ার বাবল’ বলে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির আওতায় বিমান চলাচল শুরু করে বাংলাদেশ। চলতি বছরের এপ্রিলে মহামারির কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ভারত। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ ব্যবস্থায় বিমান চলাচলে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
‘এয়ার বাবল’ বা ‘ট্রান্সপোর্ট বাবল’ অর্থ ‘আকাশ-বুদবুদ’। এ পদ্ধতি কাজ করবে পারস্পরিকভাবে শুধু দুটি দেশের মধ্যে। এখানে তৃতীয় কোনো দেশের ভূমিকা থাকবে না। অর্থাৎ কোনো যাত্রী ঢাকায় বিমানে উঠে সরাসরি যেন একটা ‘বুদবুদের’ মধ্য দিয়ে এসে ভারতের কোনো বিমানবন্দরে এসে নামবেন, মাঝে তিনি অন্য কোথাও বা অন্য দেশের সংস্পর্শে আসবেন না। শুধু সংশ্লিষ্ট দেশ দুটির এয়ারলাইন্সগুলোই এ পদ্ধতিতে অপারেট করতে পারবে।