ডেস্ক নিউজ
বঙ্গবন্ধু সেতু যেমন ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল, তেমনি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু।
উত্তাল যমুনার বুকে দৃশ্যমান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর পূর্বপ্রান্তে দুইটি স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুটি এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেতুটির ৪৬ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান জানান, গত ১৬ অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর প্রান্ত থেকে দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানো হয়েছে। এর আগে তার পাশেই ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়।
এ দুইটি স্প্যানের মধ্যে সুপার স্ট্রাকচার ইরেকশনও সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটিতে ৫০টি পিয়ারে মোট ৪৯টি স্প্যান বসানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ৫০টি পিয়ারের মধ্যে ১১টি পিয়ারের কাজ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, ২৪টি পিয়ারের কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আশা ব্যক্ত করে মাসুদুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। ইতোমধ্যে সেতুটির শতকরা ৪৬ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করছে জাইকা।
সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল অংশে নদীর দুই পাড়ে দুইটি প্যাকেজে দেশি-বিদেশি কর্মী-প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে সেতুটির নির্মাণকাজ চলছে। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে সেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।
১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতিসীমা।
বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হওয়ায় সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়, বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা একটি রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।