দেশেই উৎপাদিত হবে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) পরীক্ষার কিট। এখন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদন পেলেই এটি বাজারে ছাড়তে পারবে বলে জানিয়েছে উৎপাদক সংস্থা গণস্বাস্থ্য-আএনএ বায়োটেক লিমিটেড।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কিটের প্রত্যেকটির জন্য খরচ পড়বে ২০০ টাকার মতো।
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী একটি ইংরেজি দৈনিককে জানিয়েছেন, গণস্বাস্থ্য সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞদের একটি সমন্বিত দল এই কিট আবিষ্কার করেছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, এই কিট দেশে করোনা পরীক্ষা নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া ভয় কমাবে। আমরা ডিজিডিএ’র কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে এক মাসের মধ্যে আমরা উৎপাদনে যেতো পারবো।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, এই ডায়াগনস্টিক কিট ২০০ টাকায় বিক্রেতা এবং ল্যাবগুলোতে দিতে পারবো। সরকারের উচিৎ হবে বিষয়টি মনিটরিং করা যাতে সাধারণ জনগণ ৩০০ টাকার মধ্যে পরীক্ষা করাতে পারে।
দেশে উৎপাদিত এই কিটের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল পেতে কয়েক ঘণ্টা থেকে দুই দিন সময় লাগতে পারে।
এর আগে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেকের পক্ষে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ২০০৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সার্স (সিভিয়ার রেসপারেটরি সিনড্রোম) ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করে। তখন বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সার্স ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট আবিষ্কার করেন। ড. বিজন বর্তমানে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে কাজ করছেন। যেহেতু সার্স এবং নতুন করোনাভাইরাস একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তাই সার্স শনাক্তকরণ কিটের কিছুটা পরিবর্তন এনে স্বল্প সময়ে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট তৈরি করা যাবে।
এই কিট উৎপাদনে কাজ করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়লজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিহাদ আদনানও। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে কোনো ধরনের ভাইরাস শনাক্ত করতে হলে অবশ্যই তার জেনেটিক তথ্য জানা থাকতে হবে। পাশাপাশি ভাইরাসটির ইউনিক সিকুয়েন্স, সারফেস প্রোটিন সম্পর্কে সব তথ্যের বিশ্লেষণ থাকতে হবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়গুলো আমাদের আয়ত্বে রয়েছে।