নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) চেয়ারম্যান অজিত কুমার পাল বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোন শিল্প বিরাষ্ট্রীয়করণ করা হবে না। দেশের চিনি শিল্পকে লাভজনক ও রপ্তানীমুখী মিল্প হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই লক্ষ্যে কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে।
কর্পোরেশন চেয়ারম্যান আজ বুধবার দুপুরে নাটোর চিনিকলে আখ চাষীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম জিয়াউল ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফআইসি’র পরিচালক ( ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা) মোঃ মোশাররফ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) রুস্তম আলী, আখচাষী ও নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, আখচাষী ও ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন ও জালাল উদ্দিন প্রামানিক, আখচাষী ও জেলা পরিষদ সদস্য প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় আখচাষী ফেডারেশনের সহ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন প্রামানিক প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত চিনিকলের উৎপাদিত ব্রাউন চিনি স্বাস্থ্যসম্মত। ব্যাপক চাহিদা থাকায় কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিদিন এক হাজার টন চিনি বিক্রি হচ্ছে। দুঃখের বিষয়, বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দেশের চাহিদার মাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ পূরণ করা যাচ্ছে। অথচ খুব সহজেই রাষ্ট্রায়াত্ত চিনিকলগুলোর পুরো উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করে দেশের শতভাগ বাজার দখল করা সম্ভব, সম্ভব বিদেশে রপ্তানী করা। আমরা প্রতিবছর দেশে উৎপাদিত ৩৪ লাখ টন আখের মধ্যে মাত্র ১৭ লাখ টন আখ চিনিকলে পাই। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সব উৎপাদিত আখ চিনিকলে আনতে হবে। আখ থেকে চিনি আহরণের হার বাড়াতে কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
অজিত কুমার পার বলেন, চিনি শিল্পকে লাভজনক করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নকামী বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এই শিল্পের সকল অব্যবস্থাপনা দূর করে কার্যকর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। লোকসানের বোঝা কাটিয়ে এই শিল্পকে লাভজনক করতে সকল চিনি কলে বহুমুখীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে রপ্তানীযোগ্য এলকোহল, স্পিরিট, সার, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সারাবছর চিনিকলকে চালু রাখা হবে। কর্পোরেশনে কর্মরত কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ এবং দূর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কৃষকদের জন্যে প্রণোদনামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কৃষকরা অবশ্যই তাদের উৎপাদিত আখ অবশ্যই চিনি কলে নিয়ে আসবেন বলে এই কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে কর্পোরেশন চেয়ারম্যান নাটোর চিনিকলের কারখানা পরিদর্শন করেন এবং কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।