সরকারিভাবে প্রথম দফায় তিন কোটি ডোজ টিকা এনে বিনামূল্যে বিতরণ করবে সরকার। এর মধ্যে মহামারী মোকাবিলায় যারা সামনে (ফ্রন্টলাইনার) থেকে কাজ করছেন, তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও ভ্যাকসিন সংগ্রহের সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে গতকাল মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ সংগ্রহের প্রস্তাবে গত ১৪ অক্টোবর অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর গত ৫ নভেম্বর
সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে সরকার চুক্তিও করেছে।
ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১৬ নভেম্বর অর্থ বিভাগ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এখন ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তাব অর্থনৈতিক ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাবে, সে প্রস্তাব চলে এসেছে।
প্রথম দফায় ভ্যাকসিন কারা পাবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি গাইডলাইন আছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার পুলিশ, প্রশাসনের লোক যারা মাঠে চাকরি করছেন, তার পর বয়স্ক লোক, শিশু- এ রকম একটা প্রটোকল আছে। এই টিকা বিতরণে অনিয়ম করলে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই ভ্যাকসিন কিনতে মোট কত টাকা করে খরচ হবে, তা ক্রয়চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। বুধবার (আজ) বিষয়টি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উঠবে। আরও অনেকগুলো ভ্যাকসিনের বিষয়ে (মন্ত্রিসভায় তথ্য) উপস্থাপন করা হয়েছে, তারা বলেছে যোগাযোগ রাখছে। এখনই বলা যাচ্ছে না কোনটি বেশি কার্যকর হবে।