ডেস্ক নিউজ
জাতির গৌরবের মহান বিজয় দিবস আজ। বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মধ্যদিয়ে সারাদেশে পালিত হচ্ছে ৪৯তম মহান বিজয় দিবস। আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে প্রথম প্রহরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শহীদদের স্মরণে তাঁরা সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন বাংলাদেশ নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ও সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা প্রদান শেষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তখন থেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনস্রোত নামে। শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়ে শহীদদের উদ্দেশ্যে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করেছেন লাখো মানুষ। সারা দেশের মানুষের পাশাপাশি দেশের বাইরে অবস্থানরত বাঙালিরাও মহান বিজয় দিবসে আনন্দে মেতে উঠেছে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করা অকুতোভয় বীর সন্তানদের পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে বাঙালি জাতি।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ বিজয় দিবসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রপতি তার বানিতে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সারাদেশে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সারাদেশের সকল সরকারি, বে-সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠের ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জাগরণী গানে মুখরিত পাড়া-মহল্লা, গলি থেকে রাজপথ। লাল-সবুজ পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে পথে পথে শিশু কিশোর, বৃদ্ধা বনিতা।
গর্বের পতাকা উঁচিয়ে প্রগতির পথে অবিচল থাকুক বাঙালির এই অভিযাত্রা।