ডেস্ক নিউজ
সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চাইছে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির এক নেতা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিবকে এই দাবিতে আইনি নোটিস দিয়েছেন। দাবি না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কেউ যেন রক্ষা না পায়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বালন কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ। এ সময় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন শেষে একটি মিছিলও করেছে ছাত্রলীগ। রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শেষ হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা ধর্ষকদের বিচার চাচ্ছি। ধর্ষক ও নারীর প্রতি নির্যাতনকারী যে দলেরই হোক, আমাদের দাবি থাকবে এদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার।’
ধর্ষকদের ‘সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী’ উল্লেখ করে জয় বলেন, ‘তাদের কোনো দল নেই। ধর্ষক যে কেউই হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় যাদের নাম এসেছে তাদের সবাই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। পুলিশ এরই মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতাও।
তাদের সবাইকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও দ্রুত বিচার সম্পন্নের দাবিতে আইনি নোটিস দিয়েছি। এতে করে ধর্ষকরা ধর্ষণ করতে ভয় পাবে। আমরা ধর্ষককে সামাজিকভাবে বয়কট করার দাবি জানিয়েছি।’
হেনস্তা কিংবা ধর্ষণের শিকার হলে নারীদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জানাতে অনুরোধ জানান জয়।
বলেন, ‘আমরা মা বোনদের অনুরোধ করব, তারা যদি কোথাও কোন হেনস্তার শিকার হয়, ধর্ষণের শিকার হয় তাহলে যেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জানায়। তাহলে আমরা তাদের ধরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেব।
‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত করে ছাড়বে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবসময় সচেষ্ট থাকবে যেন কোনো ধর্ষণ না হয়।’
ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি না করাও আহ্বান জানান এই ছাত্রলীগ নেতা।
মৃত্যুদণ্ডের সাজা চেয়ে আইনি নোটিস
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আইন সংশোধনের জন্য আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। ধর্ষণের মামলা বিচারে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে।
ছাত্রলীগের আইন সম্পাদক মোহাম্মদ ফুয়াদ হোসেনের পক্ষে আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নোটিসটি পাঠিয়েছেন।
আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তিনি নোটিসটি পাঠিয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে এতে।
প্রচলিত আইনে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজার বিধান রয়েছে। তবে দলগত ধর্ষণ ও ধর্ষণের পরে হত্যা হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে।