ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজ বাসা থেকে সচিবালয়ের উদ্দেশে বের হওয়ার সময় একটি বেসরকারি টেলিভশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার। সেহেতু এটা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। কারণ আইন মানুষের জন্য।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্বরতার চরম সীমায় পৌঁছেছে তারা। আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ রকম মানুষ সমাজবিরোধী, এরা অমানুষ।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ধরনের গাফিলতি দেখায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’জন ছাড়া সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করা হবে।
সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে দলবদ্ধধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ সারাদেশে ধর্ষণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় ধর্ষণের শাস্তি বাড়ানোর দাবি উঠেছে। ধর্ষণ-নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে রাজধানী ঢাকাসহ জেলায় জেলায়।