নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টায় নামমাত্র বিচার করে জরিমানার টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার ঘটনায় পাঁচ গ্রাম প্রধানসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার কোর্টের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত ভ্যানচালক উপজেলার কুমরুল পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে বোরহান উদ্দীন (৩৫), গ্রাম প্রধান একই গ্রামের মৃত কিয়াম মোল্লার ছেলে কাজল হোসেন (৪৫), মৃত প্রভাষ চন্দ্র কবিরাজের ছেলে বিপ্লব কুমার বাবলু (৪০), নিয়াম মোল্লার ছেলে ফিরোজ আহমেদ টিপু (৪৮), মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে মুন্নাফ (৪০) ও শ্রী লালু বাবুর ছেলে নীহার রঞ্জন (৪০)।
জানা যায়, গত ১১ আগষ্ট দুপুরে বোরহান কুমরুল গ্রামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে বাজার থেকে কেনা চাল পৌঁছে দিতে যায়। এ সময় বোরহান ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা গৃহবধুকে (৩২) একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ঐ গৃহবধু ঘুম থেকে জেগে চিৎকার শুরু করলে সে পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানালে গ্রাম প্রধানেরা থানায় যেতে নিষেধ করে গত ২০ আগষ্ট মিমাংসা বৈঠকে বোরহানকে সাতটি জুতার বাড়ি দিয়েই বিচার শেষ করেন। একই সঙ্গে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করলেও ঐ গৃহবধুকে না দিয়ে পুরো টাকাই প্রধানেরা ভাগাভাগি করে নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঐ গৃহবধুকে থানায় ডেকে এনে এ ব্যাপারে মামলা নেন। পরে রাতে আসামীদের সবাইকে আটক করে পুলিশ।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শুক্রবার কোর্টের মাধ্যমে তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।